Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের চাই ১৬৬

১১১১
[publishpress_authors_box]
সিলেট থেকে
সিলেট থেকে

তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম খেলায় হারের পর একটাই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সেটাও ৬ বছর আগে ২০১৮ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এর পুনরাবৃত্তি করার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে আজ (বুধবার) জিততেই হবে। সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৬৬ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝড়ো শুরু করেও শ্রীলঙ্কা থামে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানে। সবচেয়ে বেশি ৩৭ রান কামিন্দু মেন্ডিসের। একটি করে উইকেট তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী হাসান ও সৌম্য সরকারের।

প্রথম ম্যাচে ফাঁকা গ্যালারি চোখে লেগেছিল বেশ। জাকের আলীর বিস্ফোরক ইনিংসে বেড়েছে দর্শক আগ্রহ। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ থেকেও দলে দলে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে এসেছেন দর্শক। সবার মুখে জাকেরের জয়গান।

গ্যালারির একপ্রান্তে দেখা মিলল দুটি লঙ্কান পতাকা উড়িয়ে ক’জন দর্শককে খেলা উপভোগ করতে। স্থানীয়রা মজা করছিলেন তাদের সঙ্গে।

মেডেনে শুরু

প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় বলে উইকেট পেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। আজও (বুধবার) দ্বিতীয় বলে আভিস্কা ফার্নান্ডোর বিপক্ষে করেছিলেন এলবিডব্লিউর জোড়ালো আপিল। আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে ভেতর ভেতর নড়ে যান আভিস্কা। সেই ওভারে রানই নিতে পারেননি তিনি। মেডেন ওভারে শুরু করে বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লেতে ৪৯

শ্রীলঙ্কা প্রথম রানের দেখা পায় নবম বলে। চাপ কাটাতেই তাসকিন আহমেদকে মিডউইকেট দিয়ে সুইপ করতে গিয়ে আভিস্কা বল তোলেন আকাশে। নিজের বলে তাসকিন নিজেই ক্যাচ নিলে উৎসবের ঢেউ ওঠে গ্যালারিতে। ০ রানে ফেরেন এই ওপেনার।

প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন অহমেদ। ছবি : বিসিবি

ক্রিজে এসে প্রথম বলেই স্কয়ার ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন কামিন্দু মেন্ডিস। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে পাওয়ার প্লেতে রানের গতি সচল রাখেন কামিন্দু। পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কা করে ১ উইকেটে ৪৯। রানরেট ৮.১৬। প্রথম ম্যাচে এ সময় ২ উইকেটে ৪৫ করেছিল লঙ্কানরা।

প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও পাওয়ার প্লেতে ৪ বোলার ব্যবহার করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে লাভ হয়নি তেমন। লঙ্কানরা এসময় পায় ৫ বাউন্ডারি ৩ ছক্কা। প্রথম ওভারে সফল হওয়া তাসকিন নিজের দ্বিতীয় ওভারে দেন ১৭। লেগ সাইডে শর্ট বল করে সেই ওভারে ছক্কা খেয়েছিলেন দুটি।

মোস্তাফিজুর রহমান তো প্রথম ওভারেই খরচ করেন ১৫ রান। তার করা পাওয়ার প্লের শেষ বলটা ছিল শর্ট লেন্থে, যা ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন কুশল মেন্ডিস।

ঝড় তুলে ২ ওভারে ফেরেন দুই মেন্ডিস

বাংলাদেশ বোলারদের শর্ট আর লেগ সাইডে পড়া বলের পুরো ফায়দা তুলেছেন কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস। শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দুজন গড়েন ৬৬ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্রেকথ্রু এনে দেন সৌম্য সরকার।

অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন কুশল। ২২ বলে ২ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় থামেন ৩৬ রানে। এরপর সৌম্যর স্যালুটের মতো উদযাপন যোগ করেছিল অন্য মাত্রা।

পরের ওভারেই রান আউট কামিন্দু মেন্ডিস। সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে শেষ হয় তার ২৭ বলে ৩ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস। কভার থেকে করা তাওহিদ হৃদয়রে থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন বোলার রিশাদ হোসেন।

১/৬৭ থেকে ৫/১১২

মাঝখানের ওভারে লঙ্কানদের ঝড় তুলতে দেয়নি বাংলাদেশ। ৬৭ রানে ১ উইকেট থেকে ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। দুই মেন্ডিসের পর সামারাবিক্রমা টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মোস্তাফিজের বল বুঝতে না পেরে এই পেসারের হাতেই ধরা পড়েন মাত্র ৭ রানে।

ঝড়ো ৪৪ রানে প্রথম ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। আজও (বুধবার) শুরু করেছিলেন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। তবে ১৪ বলে ২৮ করে বোল্ড হন মেহেদীর বলে। দারুণ শুরুর ভিতটা দ্রুত উইকেট হারিয়ে নষ্ট করে তারা। তাতে কৃতিত্ব পাওনা বাংলাদেশি বোলারদের।

শেষ ৫ ওভারে ৪৩

প্রথম ম্যাচে শেষ ৫ ওভারের বিস্ফোরক ইনিংসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১২২। শেষ ৫ ওভারে তারা করে ৪৩।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে ‘টাইমড আউট’ হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ টেনে নিয়ে গেছেন ইনিংসটা। তিনি খেলেন ২১ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিয়ংস। তিনি নামার সময় দর্শকরা ‘সাকিব সাকিব’ বলে চিৎকার করলেও স্বাভাবিক ব্যাটিং করে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

মিতব্যয়ী শরিফুল খরুচে মোস্তাফিজ

উইকেট পাননি তবে শরিফুল ছিলেন মিতব্যয়ী। ৪ ওভারে কেবল ২০ রান দিয়েছেন তিনি। সৌম্য ব্রেক থ্রু এনে দিলেও তাকে ১ ওভারের বেশি দেননি শান্ত। ৫ রান খরচ ছিল সৌম্যর। ৩৮ রানে তাসকিন নিয়েছেন ১ উইকেট।

মেহেদী ৪ ওভারে ৩৯ রানে নেন ১ উইকেট। প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে ২৪ রান দেওয়া মোস্তাফিজ এবারও করেছেন শেষ ওভার। এই ওভারে খরচ ৯ রান। ৪ ওভারে ৪২ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। উইকেট বাড়তে পারতো আরও একটা। কিন্তু পঞ্চম বলে দাসুন শানাকার ক্যাচ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ফেলেন মেহেদী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত