Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

সুনাকের ‘রুয়ান্ডা পরিকল্পনা’য় কী ছিল, কেন বাতিল করছেন স্টারমার

Rwanda_Plan
[publishpress_authors_box]

দায়িত্ব নিয়েই অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় নির্বাসনের বিতর্কিত পরিকল্পনাটি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অফিস শুরুর প্রথম দিনেই তিনি এই ঘোষণা দেন।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে স্টারমারের দল লেবার পার্টি। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪১২টিতে জয় পায় দলটি।

যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে প্রধান একটি ইস্যু ছিল, ফ্রান্স হয়ে যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের কীভাবে আটকানো যায়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যুক্তরাজ্যে যায়।

পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকার ২০২২ সালে অনুমতি ছাড়া যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় নির্বাসনের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে। রক্ষণশীলদের দাবি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় চড়ে সাগরপাড়ি দিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন বন্ধ করার লক্ষ্যে পরিকল্পনাটি করা হয়।

অন্যদিকে, একাধিক মানবাধিকার সংস্থাসহ কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি ওই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছিলেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে পরিকল্পনাটির অধীনে কাউকে রুয়ান্ডায় পাঠাতে পারেনি সদ্য বিদায় নেওয়া রক্ষণশীল সরকার।

২০২৩ সালের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট পরিকল্পনাটিকে বেআইনি ঘোষণা করে বলেছিল, রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।

ওই রায়ের পর রক্ষণশীল সরকারের মন্ত্রীরা রুয়ান্ডার সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করে এবং আদালতের রায় ঠেকাতে পার্লামেন্টে নতুন আইনও পাস করে। এরপর ঘোষণা করা হয় ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানো শুরু হবে।

তবে দাতব্য সংস্থা এবং ইউনিয়নগুলো সেই পদক্ষেপের বৈধতাকেও আদালতে চ্যালেঞ্জ করে। এর মধ্যেই ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগাম নির্বাচনের ডাক দেন। ৪ জুলাই সেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয়ে ক্ষমতা হারায় তার দল কনজারভেটিভ পার্টি।

রুয়ান্ডা শরণার্থী আশ্রয় পরিকল্পনা কী

গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে প্রচুর মানুষ জীবিকার তাগিদে ও উন্নত জীবনের আশায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে ছুটছে। এশিয়ার তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে শুরু করে আফ্রিকার মিশর, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, আলেজেরিয়া ও মরক্কো উপকূল হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনে প্রবেশ করে। ছোট ছোট নৌকায় চড়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুও হয়।

এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেকে ফ্রান্স হয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যেও প্রবেশ করে। এ ছাড়াও আরও বিভিন্নভাবে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্যে যায়, এদের মধ্যে অনেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীও থাকেন। এসব অভিবাসন প্রত্যাশীর বেশিরভাগেরই কোনও বৈধ অনুমতিপত্র থাকে না। মানবপাচারকারীদের সহায়তায় তারা ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে প্রবেশ করে।

গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাজ্যে এই অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী সংকট চরম আকার ধারণ করে। এই প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা করে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে। সেখানে রুয়ান্ডা সরকারের মাধ্যমে তাদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হবে।

তা না হলে, তারা অন্য ভিত্তিতে রুয়ান্ডায় বসতি স্থাপনের জন্য আবেদন করতে পারবে, অথবা অন্য ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশে’ আশ্রয় চাইতে পারবে। কোনও আশ্রয়প্রার্থী যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার জন্য আবেদন করতে পারবে না।

রক্ষণশীল সরকারের দাবি ছিল, এই পরিকল্পনা অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে ছোট নৌকায় চড়ে সাগরপাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসা বন্ধ করবে। এটি ছিল সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রধান অগ্রাধিকার।

বিবিসির প্রতিবেদন মতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ১১ হাজার ২৪৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। আগের চার বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

তবে অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়লেও কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা রক্ষণশীল সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। হাইকোর্ট সরকারের পক্ষে রায় দিলে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।

২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট পরিকল্পানাটিকে বেআইনি ঘোষণা করে। রায়ে আদালতের বিচারকরা বলেন, রুয়ান্ডা এমন কোনও নিরাপদ দেশ নয় যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের রাখা যেতে পারে। কারণ দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো নয়।

সুপ্রিম কোর্ট তিনটি প্রধান উদ্বেগ তুলে করে— দেশটির দুর্বল মানবাধিকার রেকর্ড, আশ্রয় প্রক্রিয়াকরণে গুরুতর ও পদ্ধতিগত ত্রুটির উপস্থিতি এবং এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে অনুরূপ একটি চুক্তির পর রুয়ান্ডা আশ্রয়প্রার্থীদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠায়। এর মধ্য দিয়ে দেশটি আশ্রয়প্রার্থীদের জোরপূর্বক নিজ দেশে ফেরত না পাঠানো সংক্রান্ত নীতিমালা লঙ্ঘন করে।

এ ছাড়া শরণার্থীদের সঙ্গে দেশটির সরকারের খারাপ আচরণের রেকর্ডও রয়েছে। ২০১৮ সালে একবার দেশটির পুলিশ বিক্ষোভকারী শরণার্থীদের ওপর গুলি চালায়। এতে অন্তত ১১ জন শরণার্থী নিহত হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রক্ষণশীল সরকার রুয়ান্ডার সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করে। চুক্তিতে আশ্রয়প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং নিজ দেশে ফেরত না পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। রুয়ান্ডা সরকার কোনও শরণার্থীকে না রাখতে চাইলে তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনার কথাও বলা হয় চুক্তিতে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টেও একটি নতুন আইন পাস করা হয়। এরপর যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা করে, রুয়ান্ডা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ দেশ।

২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল রুয়ান্ডার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের চুক্তিটি অনুমোদন করা হয় এবং রুয়ান্ডা নিরাপত্তা (আশ্রয় ও অভিবাসন) বিল ২০২৪ একটি আইনে পরিণত হয়।

আইনটি করার পর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানো শুরু হবে। তবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই মে মাসের শেষদিকে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন সুনাক।

মানবাধিকার সংস্থা ও বিরোধী দলগুলোর চ্যালেঞ্জ

কয়েকটি বিরোধী দল এবং আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী অনেক মানবাধিকার ও দাতব্য সংস্থা বিলটির তীব্র সমালোচনা করে।

বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার ঘোষণা করেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে রুয়ান্ডা নির্বাসন প্রকল্প বাতিল করবেন।

লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিও (এসএনপি) বলে যে, পরিকল্পনাটি বাতিল করা উচিৎ, কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির লঙ্ঘন।

বিলটি পাস হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেন, পরিকল্পনাটির বিরুদ্ধে আরও আইনি চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশিতই ছিল।

সে সময় রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেন, ২৫টি আদালত কক্ষ এবং ১৫০ জন বিচারক যেকোনও আইনি মামলা মোকাবেলা করার জন্য তৈরি আছে। এ ছাড়া আরও “৫০০ উচ্চ প্রশিক্ষিত জনবল অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় দিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত এবং আরও ৩০০ জন প্রশিক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছে।”

এর মধ্যে জ্যেষ্ঠ বেসামরিক কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এফডিএ ইউনিয়ন জানায়, তারা একটি আইনি চ্যালেঞ্জ শুরু করছে, কারণ তাদের আশঙ্কা- নির্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তারা আইন ভঙ্গ করতে বাধ্য হতে পারেন।

‘অ্যাসাইলাম এইড’ নামের দাতব্য সংস্থাও যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়, তারা এই নির্বাসন পরিকল্পনার বিষয়ে সরকারকে আদালতে নিয়ে যেতে চায়। কারণ এই স্কিম বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের জন্য নিয়মাবলী তৈরি করা হয়েছে, তা শরণার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ রক্ষা-কবচকে দুর্বল করে দেয়।

এমন প্রেক্ষাপটে উত্তর আয়ারল্যান্ডের উচ্চ আদালত রায় দেয়, যুক্তরাজ্য সরকারের অবৈধ অভিবাসন আইনের বড় অংশ উত্তর আয়ারল্যান্ডে প্রয়োগ করা উচিৎ হবে না, কারণ তা মানবাধিকার আইন এবং উইন্ডসর ফ্রেমওয়ার্ক লঙ্ঘন করে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী চুক্তিটি ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সই হয়।

এ ছাড়া এটি মানবাধিকার সম্পর্কিত ইউরোপীয় কনভেনশন (ইসিএইচআর) লঙ্ঘন করে। ওই কনভেনশনে নির্যাতন এবং অমানবিক আচরণ নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্যও ওই সনদে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ।

লেবার পার্টিসহ বিরোধী দলগুলোর আরও অভিযোগ ছিল, রুয়ান্ডা আশ্রয় প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিকর হবে।

২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার রুয়ান্ডাকে ২৪ কোটি পাউন্ড অনুদান দেয় শরণার্থীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য। পাঁচ বছরে দিতে হতো ৩৭ কোটি পাউন্ড।

যদি ৩০০ জনেরও বেশি লোককে রুয়ান্ডায় পাঠানো হতো তাহলে যুক্তরাজ্যকে দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করার জন্য আরও ১২ কোটি পাউন্ড দিতে হত। প্রতিজন শরণার্থীর জন্য দিতে হত ২০ হাজার পাউন্ড।

এর উপরে, সেখানে পাঠানো প্রতি ব্যক্তির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড করে দিতে হত। এর মধ্যে স্বেচ্ছায় রুয়ান্ডায় যেতে চাওয়া আশ্রয়াপ্রার্থীদের খরচ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাদের জন্য আলাদা করে আরও অর্থ দিতে হত।

বিরোধীদের বক্তব্য, আশ্রয়প্রার্থীদের যুক্তরাজ্যে থাকতে দিলে জনপ্রতি যে অর্থ খরচ হবে তার চেয়ে অন্তত ৬৩ হাজার পাউন্ড বেশি খরচ হবে রুয়ান্ডায় পাঠালে।

যদিও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঋষি সুনাক দাবি করেছিলেন, রুয়ান্ডা পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাজ্যের শতকোটি পাউন্ড বাঁচাবে। কিন্তু তিনি এর ব্যাখ্যা দেননি।

যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ব্যবস্থায় বছরে প্রায় ৪০০ কোটি পাউন্ড খরচ হয়, যার মধ্যে হোটেলের বাসস্থানের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৮০ লাখ পাউন্ড যায়।

নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন, তার সরকার একটি বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড তৈরি করবে, যেখানে পুলিশ, দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনজীবীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ওই কমান্ডের কাজ হবে মানবপাচার বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করা।

রুয়ান্ডা নির্বাসন পরিকল্পনা বাতিল করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসা যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ফ্রম টর্চারের সিইও সোনিয়া স্কেটস নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের শনিবারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “এই লজ্জাজনক পরিকল্পনাটি বাতিল করায় আমরা কিয়ার স্টারমারকে সাধুবাদ জানাই। পরিকল্পনাটি নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার মানুষদের জীবন নিয়ে রাজনীতি করেছে।”

তথ্যসূত্র : বিবিসি, মাইগ্রেশন অবজারভেটরি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত