রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে জয় দেখছে বাংলাদেশ। টেস্টের শেষদিন পুরোটা সময় হাতে নিয়ে ১৪৩ রান করা কঠিন কিছু না। অবশ্য প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার ভয় আছে। একই ইনিংসে ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাাঁড়ানোর উদাহরণও সামনে আছে।
লিটন দাস-মেহেদি হাসান মিরাজ-হাসান মাহমুদদের লড়াইয়ে চোখ রাখলে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ের আশা করাই যায়। কিন্তু টেস্টের পঞ্চম দিন বাংলাদেশের সামনে বাধা খুররম শাহজাদ-মীর হামজারা নয়, বৃষ্টি। শেষদিন পুরোটা সময় বৃষ্টিতে পন্ড হওয়ার শঙ্কা আছে।
বাংলাদেশ বৃষ্টিকে খুব একটা আমল দিতে চায়নি। চতুর্থ দিনই খেলা শেষ করার চেষ্টা ছিল সফরকারীদের। তাই ওপেনিংয়ে একপ্রান্তে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন জাকির হাসান। বৃষ্টিতে দিনের অনেকটা সময় খেলা পন্ড হওয়ায় বাংলাদেশের হতাশা বেড়েছে।
দিন শেষে সাংবাদ সম্মেলনে টেস্টে প্রথম পাঁচ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ বলেছেন, “যদি আজকে বৃষ্টি না হতো তাহলে চিন্তা করতাম যে আজকের মধ্যে কিভাবে খেলা শেষ করা যায় বা কালকের প্রথম সেশনে যত দ্রুত পারা যায় আরকি।”
তাই বলে সব বলে মারার চিন্তা ছিল না ওপেনারদের। বাজে বলগুলো দেখেই বড় শট নিয়েছে। হাসান জানিয়েছেন, “আসলে আমার মনে হয় তারা (ওপেনার) বৃষ্টি নিয়ে ভাবেনি। তারা প্রতিটি বল দেখে খেলেছে। বাজে বলকে তারা আক্রমণ করেছে। সেভাবেই প্রতিটি বলকে তারা খেলতে চেয়েছে।”
দিন শেষে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে নিজের নাম লিখেছেন হাসান। এই টেস্টে গত তিনদিন তিন বাংলাদেশীর নাম উঠেছে ওই বোর্ডে। বোলারদের অংশে মিরাজ ও হাসান আর ব্যাটিংয়ে লিটন।
অনার্স বোর্ডে নাম তোলার অন্যরকম অনুভূতির সুযোগ তৈরি হয়েছে টেস্টে প্রথমবার ৫ উইকেট নেওয়ায়। বিষয়টি সামনে এনে হাসান বলেছেন, “৫ উইকেট পাওয়াটা আনন্দের ব্যাপার, দেশ এবং দলের জন্য গর্বের ব্যাপার। টেস্ট ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচে আমরা জিতলাম। এখন আরও একটি ম্যাচে ভালো করতে পারছি এখানেও জেতার সুযোগ রয়েছে। অনেক খুশি আমরা।”