বিপিএলে ভালো করেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে আলোর বিচ্ছুরণ ফেলেছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। টি-টোয়েন্টি স্টাইলের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের যে অভাব তা দূর করার স্বপ্ন দেখা হচ্ছিল তার মাঝে। কিন্তু মুনিম বেশিদিন এগোতে পারেননি।
আবু জায়েদ রাহিকেও ভুলে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেটের। ২০১৮-১৯ এ তিন ফরম্যাট দিয়ে শুরু করা রাহি দুই বছরের ব্যবধানে হারিয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। পরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার অবহেলিত ছিলেন।
রাহির কাছাকাছি সময়ে বাতিলের খাতায় পড়ে যাওয়া আরেক নাম শফিউল ইসলাম। সবশেষ ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা এই পেসার ঘরোয়া ক্রিকেটেও উপেক্ষিত ছিলেন।
চমকের ব্যাপার হলো ১১তম বিপিএলে তিনজনই দল পেয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত অনেক নামী ও তরুণ ক্রিকেটাররা দল না পেলেও তাদের নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। মুনিম শাহরিয়ার ও আবু জায়েদ রাহিকে দলে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস আর দুর্বার রাজশাহী নিয়েছে শফিউল ইসলাম।
পাওয়ার হিটিংয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। ফরচুন বরিশালের হয়ে ২০২২ আসরে আলোচিত এই ব্যাটারকে জাতীয় দলে ডাক এনে দেয় ওই টুর্নামেন্ট। কিন্তু ওই একটি আসরের পর আর কোনবার ভালো করতে পারেননি। ব্যর্থ ছিলেন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পরও।
জাতীয় দলে ৫ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩৪ রান। ২০২২ বিশ্বকাপের অন্যতম ওপেনার হওয়ার সম্ভাবনা হারিয়ে ছিটকে যাওয়াদের তালিকায় পড়েন এই ওপেনার। রাহি সবশেষ বাংলাদেশ দলে খেলেছিলেন ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর উচ্চতায় খাট বলে পেসার হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা হারান।
দুইদিকে বল ঘোরানোর সামর্থ্য আছে রাহির। অথচ ততদিনে তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের ভীড়ে হারিয়ে যান রাহি। একই অবস্থা ছিল শফিউলের ক্ষেত্রেও। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন।
এ তিন ক্রিকেটারের জন্য জাতীয় দলে ফেরা এখন কঠিন। তবুও একটা সুযোগ তারা পেলেন দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজেদের ফুটিয়ে তোলার। তিনজনই সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু মাঠে তার সদ্যবহার করতে পারবেন কি!