সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প বলেছিলেন হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ভাবছেন না। সেই ভাবনা সিরিজের শেষ ম্যাচে থাকলেও জিম্বাবুয়ে সেই সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশকে। শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে সান্তনার জয় পেয়েছে তারা।
অবশ্য জিম্বাবুয়ের জন্য সান্তনার জয় হলেও বাংলাদেশের জন্য এ হার দুশ্চিন্তার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচটি হারতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তদের। হারের কারণ টপঅর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা। শুরুর ব্যর্থতায় বড় রান পায়নি বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান তুলেছে। জবাবে ৯ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে ম্যাচ শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের শুরুর তিন ব্যাটারের দুটি হাফসেঞ্চুরি জয় নিশ্চিত করে দলটির। ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ৪৯ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৭০ রান। তিনে নামা সিকান্দার রাজা ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে এ দুজনের ৭৫ রানের জুটি জয় সহজ করে জিম্বাবুয়ের।
বাংলাদেশ এ জায়গাটাতেই ব্যর্থ। সিরিজের চার ম্যাচে প্রথম দুই উইকেটে বড় জুটি আসেনি। চতুর্থ ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান এলেও বাকি ব্যাটাররা মিলে করেছিলেন মোটে ৪৩ রান। ব্যাটিংয়ের এমন ব্যর্থতায় ১৭০ রানের কোটা ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে তাই ব্যাটিং নিয়ে বিস্তর কাজ করতে হবে বাংলাদেশকে।