Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

১৫ শিষ্যকে নিয়ে হাথুরুর মজার মূল্যায়ন  

হাথুরু-শান্ত
[publishpress_authors_box]

বিশ্বকাপে কেমন করবে বাংলাদেশ? এ নিয়ে আলোচনা তো অনেক হলো। কিন্তু যারা খেলবেন তারা কেমন? এই আলোচনা হয়েছে কি? নাহ তাদের খেলা-সামর্থ্য নিয়ে আর বাইরে থেকে কারও কথা শুনতে হচ্ছে না। ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় খোদ বাংলাদেশ কোচ জানিয়েছেন তার শিষ্যরা কে কেমন। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক শিষ্যদের নিয়ে কোচের মূল্যায়ন –

“লিডার” শান্ত

শান্ত আমাদের লিডার। খুব ভালো লিডার। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। ড্রেসিংরুমে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখনই মাঠে যায় সে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এবারের বিশ্বকাপে তার দায়িত্বটা অনেক বেশি। প্রথমবার বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ সামলাতে সে প্রস্তুত।

“লেজেন্ড“ সাকিব আল হাসান

সাকিব এই খেলাটার কিংবদন্তি। সে সব কটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। আমি আশা করি এবারেরটি তার সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ হবে। সে তিনবিভাগেই দলকে সহায়তা করবে বলে আশা রাখি। সাকিব লিডার হিসেবেও খুব ভালো। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভালো মিশতে পারে, সবাইকে আদেশ দেয়, সম্মানও করে, মাঠে খেলাটা সবচেয়ে ভালো পড়তে পারে।

“স্পিরিট অব দ্যা টিম” মাহমুদউল্লাহ

সম্ভবত সে আমাদের স্পিরিট অব দ্য টিম। তার উপস্থিতি দলে, ড্রেসিংরুমে একধরনের স্থিরতা নিয়ে আসে। যখন সে কথা বলে, সবাই মনযোগ দিয়ে শোনে। ঠান্ডা মাথায় সে সব কিছু ভাবতে পারে। সম্প্রতি তার ব্যাটিংও অন্য উচ্চতায় উঠেছে। নির্ভয়ে ব্যাটিং করে। অবশ্যই সে চাপের পরিস্থিতি ভালো সামাল দিতে পারবে এবং তরুণদের দিক নির্দেশনাও দিতে পারবে।

“ম্যাচ উইনার“ সৌম্য সরকার

সৌম্যও ন্যাচারাল গিফটেড ক্রিকেটার। সে অনেকদিন যাবত নিজের সামর্থ্য মতো পারফরম করতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে নিজের সেরা ক্রিকেটের ঝলক দেখিয়েছে।  তিন ফরম্যাটেই সে দলে অবদান রাখতে পারে। নিজের দিনে সে সেরা একজন ম্যাচ উইনার। আমি আশা করি এবার সে আমাদের অন্তত দুটি ম্যাচ জেতাবে।

চাপে পড়লে হাসেন মেহেদী

শেখ মেহেদীও একজন বৈচিত্র্যময় অলরাউন্ডার। মূল দক্ষতা বোলিং। তবে সে অন্য যে কোন পরিস্থিতির চেয়ে চাপের মুখে বেশি হাসে। হয়তো চাপ দূর করার জন্য হাসে। ড্রেসিংরুমেও এমনটা করে। মাঠে নামলে সে নিজের সর্বস্বই দেয়।

অন্য রকম লেগ স্পিনার রিশাদ

বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বিরল প্রতিভা মানে লেগ স্পিনটা নিয়ে এসেছে সে। যেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছে তা দেখে আমি রোমাঞ্চিত। তবে রিশাদ কিন্তু প্রথাগত লেগ স্পিনারদের মতো না। আমি জানি না তার মাথায় কী চিন্তা আসে, কিন্তু চাপের মুখে সে খুব শান্ত থাকতে পারে। খুব ভালো ব্যাট করে। আমি চাইবো বিশ্বকাপেও সে ভালো ব্যাট করুক।

“নেচারাল গিফটেড“ লিটন

লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এবারের বিশ্বকাপে ওর কাছ থেকে বিশেষ কিছু আশা করছি। খুবই প্রতিভাবান এবং ন্যাচারাল গিফটেড অ্যাথলেট। কিপিংয়ের পাশাপাশি লিটন সেরা ফিল্ডারও। মাঠের যে কোন পজিশনে সে ফিল্ডিং করতে পারে। লিটন মাঠের বাইরে খুব চুপচাপ। তবে খেলাটা ভালো পড়তে পারে। ট্যাকটিক্যালি দলকে দারুণ সহায়তা করে।

নিজের মতো খেলেন তাওহিদ হৃদয়

রোমাঞ্চকর তরুণ খেলোয়াড়। নিজের মতো খেলে। সাধারণ স্টেরিওটাইপ ক্রিকেটের চেয়ে তার খেলার ধরনটা আলাদা। সে খুব প্রতিভাবান, ব্যাটিংয়ে উদ্ভাবনী শক্তি আছে তার। ব্যাটিংয়ে হাতের স্পিড খুব দ্রুত।  হৃদয়ের সবকিছুই খুব গতিময়। আমার মনে হয়, খুব প্রতিভাবান একজন টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়।

তানজিদের আছে বিশাল ভবিষ্যৎ

তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে খুব রোমাঞ্চিত। ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সামনে বিশাল ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। খুব সময় নিয়ে বল খেলে। এটাই তার ব্যাটিংয়ের মূল শক্তি। দেখলে মনে হবে অন্যদের চেয়ে সে বল খেলার সময়টা বেশি পায়। তরুণ এবং রোমাঞ্চকর ব্যাটসম্যান। ফিল্ডার হিসেবেও দুর্দান্ত।

জাকের আলী “সারপ্রাইজ প্যাকেজ”

জাকের দলে নতুন মুখ। আমি ওকে যতটুকু দেখেছি, ওর মধ্যে শান্ত একটা ভাব আছে। ওর ব্যাটিং ধৈর্যশীল। চাপের মুখেও সে নিজের ওপর ধৈর্য্য ও বিশ্বাস রাখে। বৈচিত্র্যময় প্রতিভা—কিপিং ও ফিল্ডিং করতে পারে আর কঠোর পরিশ্রম করে। আমি মনে করি, এই বিশ্বকাপের সারপ্রাইজ প্যাকেজ হতে পারে সে।

তাসকিন “গ্রেট ক্যারেক্টার”

তাসকিন খুবই আবেগপ্রবণ মানুষ। সে ভালো মুডে থাকলে আমরা ওর সেরাটা পাই। দলের মধ্যে সে খুবই জনপ্রিয়, কোচিং স্টাফদের কাছেও। সব সময়ই দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে, উন্নতি করার চেষ্টা করে। গ্রেট ক্যারেক্টার।

“বিরল প্রজাতির” মোস্তাফিজ

মোস্তাফিজ, ফিজকে নিয়ে আমি আর কী বলবো! ফিজ বোলার হিসেবে বিরল প্রজাতির বলতে হয়। বিশ্ব ক্রিকেটেই বিরল প্রতিভা। তার হাত ও কবজি দিয়ে সে যা করে যাচ্ছে, এটা অনেক বোলারই করতে পারে না। সে তার সেরা ছন্দে আছে। আমরা যখন টিম মিটিংয়ে কথা বলি, তখন সে খুব মজা করে। সে মজার মানুষ। কিছু কথা এমন বলে যা আমি বুঝতে পারি না কিন্তু বাকি সবাই হাসে।

“গোল্ডফিশ” শরীফুল ইসলাম

দলের খুব অভিজ্ঞ এক শক্তি। শরিফুল শুধু উইকেট নিতে জানে। তাকে তো কখনো কখনো গোল্ডফিশের মতো লাগে, সবকিছু খুব দ্রুত ভুলে যায়। সে ব্যাট হাতেও দারুণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাট হাতে তার সামর্থ্য সে নিজেও জানে না।

পাওয়ার প্লের স্পিনার তানভীর ইসলাম

তানভীর দলে নতুন দক্ষতা যোগ করেছে। পাওয়ারপ্লেতে সে নতুন বলে বল করতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট বিপিএল, ডিপিএল বা দীর্ঘ সময় এই দায়িত্বে সে ভালো করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স আমাদের আত্মবিশ্বাসী করেছে যে সে এই পর্যায়ের ক্রিকেটটাও সামলাতে পারবে। আমরা তাকে পাওয়ারপ্লের বোলিং শক্তি হিসেবে দেখছি।

“দৃঢ়প্রতিজ্ঞ” তানজিম হাসান

প্রতিজ্ঞাই ওর মূল বিষয়। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানুষ। চ্যালেঞ্জকে কখনো ভয় পায় না। নিজের দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে। অনুশীলন কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি দলকে সাহায্য করে যায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত