Beta
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

২০২২ বিশ্বকাপ দলে না থাকায় খারাপ লেগেছিল মাহমুদউল্লাহর

মাহমুদউল্লাহ
[publishpress_authors_box]

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ নেই দুই বছর ধরে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন না। তখন ধরে নেয়া হয়েছিল এই ফরম্যাটে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সময় শেষ। কিন্তু পরিশ্রম, একাগ্রতা ও পারফরম্যান্স দিয়ে আবার টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। এখন অন্য সবার চেয়ে ধারাবাহিকও তিনি।

দুই বছর আগের বিশ্বকাপে না থাকা ক্রিকেটার এবার বিশ্বকাপ খেলছেন। মাহমুদউল্লাহ ২০২২ আসরের দলে না থাকা নিয়ে এতদিন কোন মন্তব্য করেননি। এবার জানালেন ওই আসরে দলে না থাকায় খারাপ লেগেছিল তার। বিসিবির ফেইসবুক পেজের নিয়মিত ভিডিও আয়োজন লাল-সবুজ গল্পের শেষদিনে প্রকাশ করা হয় মাহমুদউল্লাহর লক্ষ্য অভিজ্ঞতা। সেখানে নিজের খারাপ লাগার কথা জানিয়েছেন সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

শুধু বিশ্বকাপ দল থেকেই নয়। এই অলরাউন্ডারকে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল বয়স ও ধীর ব্যাটিংয়ের কারণে। অথচ তার জায়গায় নতুন যাদের সুযোগ দেয়া হয়, কেউই তা কাজে লাগাতে পারেননি। ইনিংস শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নেয়া, ধৈর্য্য রেখে বড় ইনিংস খেলার যোগ্যতা দেখাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটওয়ারীরা।

তাই গত বছর আবারও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর দিকেই ফিরতে হয়েছে নির্বাচকদের। সুযোগ পেয়ে তা দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছেন এই ক্রিকেটার। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পর নিয়মিত রান করছেন টি-টোয়েন্টিতেও।

দৃই বছর আগে মন খারাপ হলেও এখন আর ২০২২ বিশ্বকাপ নিয়ে আক্ষেপ হয় না তার। মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, “যখন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়তো আমি দলে থাকতে পারতাম। কিন্তু হয়নি। ওটার জন্য আমার কোন মন খারাপ নেই। সবসময় আলহামদুলিল্লাহ। দলের জন্য যতটুকু আমি করতে পারি, উপস্থিতি-পারফরম্যান্স-অভিজ্ঞতা যেটা দিয়েই হোক আমি সব কিছু দেই।”

২০২২ এ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ধর্মভীরু হয়ে উঠেছেন মাহমুদউল্লাহ। নিজেকে বদলে ফেলেছেন অনেকটা। এখন নিজের ক্যারিয়ারটাই এক শিক্ষনীয় বিষয় মনে হয় তার কাছে, “স্ট্রাগল তো আমার ক্যারিয়ারে কম বেশি ছিল। আমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস করি। আল্লাহর কাছেই যা বলার বলি। আল্লাহ সবচেয়ে ভালো পরিকল্পনাকারী। আমার ভালো বা খারাপ সময়ে সবকিছুরই একটা শিক্ষনীয় বিষয় থাকে। আমি কখনও নাম নিয়ে চিন্তা করি নাই। ব্যাক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে আমি চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য অর্জন হলেওই আমি খুশি।”

ছোটবেলায় বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে জাগে মাহমুদউল্লাহর। খেলাটিতে হাতেখড়িও বড় ভাইয়ের কাছে। মাহমুদউল্লাহর প্রিয় ক্রিকেটার পাকিস্তানের সাবেক গ্রেট ব্যাটার সাঈদ আনোয়ার। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন বলে তার মতো ব্যাটিংও করেন। খেলাটাকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু দলের বাকি ব্যাটাররা তো মাহমুদউল্লাহর মতো ব্যাটিংয়ে ধৈর্য্য রাখতে ব্যর্থ। তাই দল হিসেবেও এই ফরম্যাটে ব্যর্থতা বড় হচ্ছে বাংলাদেশের। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে হাতে গোনা সাফল্য থাকলেও বড় আসরে ভালো অতীত নেই বাংলাদেশের।

মাহমুদউল্লাহ জানালেন বড় আসলে ভালো করতে হলে ভাগ্যও লাগে, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আগে থেকে কেমন করবো তা বলা কঠিন। এখানে যে কোন দিন যে কোন দল জিততে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা কিভাবে শুরু করি। আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি তাহলে অনেক দূর যেতে পারব। ট্রফি জিনিসটা আমরা মনে হয় যে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটা বড় ইভেন্টে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম কিন্তু আমরা পারিনি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত