বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতি ম্যাচেই টপঅর্ডারের দ্রুত বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইট থেকে তাই নতুন পরিকল্পনা। এবার প্রথম ৬ ওভারে উইকেট হাতে রাখার চ্যালেঞ্জ নেয় বাংলাদেশ।
সেই পরিকল্পনায় সফল হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। উইকেট ধরে খেলায় অধিনায়ক নিজেও রান পেয়েছেন। ম্যাচ শেষে শান্ত বলেছেন, “শুরুর দিকে একটু দেখে খেলার পরিকল্পনা ছিল। কারণ আগের ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো শুরু পাচ্ছিলাম না। সেদিক থেকে আজ শুরুর ৬টা ওভার কীভাবে উইকেট হাতে নিয়ে শেষ করতে পারি সেই চেষ্টা ছিল। আমার মনে হয় এই পরিকল্পনায় সফল হয়েছি।”
কিন্তু শুরুর ওই ধীরে খেলায় ক্ষতিটা হয়েছে অন্যদিকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ রান ওঠেনি বোর্ডে। নিজে আরও কিছুক্ষণ উইকেটে থাকলে দল ১৬০ করতে পারতো বলে বিশ্বাস করেন শান্ত, “আমি ওই সময় আউট না হলে ভালো হতো। আমি ১৭-১৮ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকলে স্কোরটা ১৬০-১৭০ হতে পারতো। তবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হলেও শুরুতে ব্যাট করা সহজ ছিল না। আমাদের সময় ওদের পেসাররা ভালো গ্রিপ পাচ্ছিল। বৃষ্টি হওয়ায় আমাদের পেসাররা সেই সুবিধাটা পাইনি।”
উইকেটের ভিন্নতায় অ্যান্টিগায় মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে শান্তদের। সেন্ট ভিনসেন্টে স্পিনিং পিচে খেলেছেন শান্তরা। সুপার এইটের ভেন্যুতে ব্যাটিং পিচে চাহিদা মতো খেলতে পারেননি। কেন পারছেন না তা শান্তরও জানা নেই, “আমাদের সবাইকে বার্তা দেয়া আছে যেন স্বাধীন ভাবে ব্যাট করতে পারি। এখানে চাপের কিছু নেই। কিন্তু আমরা কেন পারছি না এটা বলা মুশকিল। সবার সামর্থ্য আছে। অতীতে বিভিন্ন জায়গায় রান করেছে সবাই। কেন এই আসরে পারছে না সেই উত্তরটা আমার কাছেও নাই। আমরা ব্যাটাররা এভাবে খেললে বোলারদের জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জিং।”
এক রাতের ব্যবধানে ভারতের সঙ্গে সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচটি আফগানদের সঙ্গে। শান্তর বিশ্বাস সেমিফাইনালের পথে স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি। সামনের দুটো ম্যাচ থেকে পাওয়ার অনেক কিছু। ম্যাচ দুটো জয়ের জন্যই খেলবে বাংলাদেশ। জিতলে এই বিশ্বকাপে নিজেদের অর্জন আরও ভারি হবে।