মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে গত মে মাসে ১ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। একক মাসের হিসাবে এই লেনদেন তৃতীয় সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত এপ্রিলে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল, যা ছিল একক মাসের হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এক মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল গত মার্চে। সেসময় লেনদেন হয় এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।
দেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইলে ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকিং। হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই সব ধরনের লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে এখন। এমনকি হিসাব খুলতেও কোথাও যেতে হয় না। গ্রাহক নিজেই অনায়াসে মোবাইল ব্যবহার করে হিসাব খুলতে পারেন।
বিশেষ করে বিকাশ, রকেট, নগদ ও উপায়ের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে।
এসব সেবায় গত মে মাসে লেনদেন হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার ৯৫২কোটি টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা।
এপ্রিলে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা; মার্চে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এমএফএসে লেনদেনের অঙ্ক ছিল এক লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা।
লেনদেনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গ্রাকহ সংখ্যা। সাড়ে পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৬৮।
মে মাসে সেই গ্রাহক প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেড়ে প্রায় ২৩ কোটিতে উঠেছে।
এখন মোবাইল ব্যাংকিং শুধু টাকা পাঠানোর মাধ্যম না। এর ব্যবহার হচ্ছে সব ধরনের লেনদেনে। বিশেষ করে পরিষেবা বিল পরিশোধ, স্কুলের বেতন, কেনাকাটা, সরকারি ভাতা, টিকিট ক্রয়, বিমার প্রিমিয়াম পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ ও অনুদান পাঠানোর অন্যতম মাধ্যম।
