ডেঙ্গুর ‘পিক সিজনে’ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ১০টি কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এসব কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
এসব কমিটি গঠনের দিনেই দেশে ডেঙ্গু রোগে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। নতুন করে ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টার এ হিসাব জানিয়েছে।
আগের দিন রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছিল, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৯২৬ জন। দুটি হিসাবই এ বছরের সর্বোচ্চ।
সবশেষ ৮৬৬ জনকে নিয়ে চলতি বছরে হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ হাজার ৯০০ জনে আর মৃত্যু হলো ১৩৩ জনের। যার মধ্যে সেপ্টেম্বরের ২৩ দিনেই মারা গেছে ৫০ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে এখন দেশে চলছে ডেঙ্গুর পিক সিজন। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিতে ১০ কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা পর্যায়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে এসব কমিটি।
অফিস আদেশে বলা হয়, ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল বিনষ্ট, পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং মশার লার্ভা ও মশা নিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মশক নিধন কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড় তদারকির জন্য এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেগুলোর সদস্যরা হলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা।
এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনটি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চারটি কমিটি কাজ করবে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য একটি এবং সাভার, ধামরাই, দোহার, তারাবো, রূপগঞ্জ ও অন্যান্য উপজেলার একটি কমিটি করা হয়েছে।
একটি কমিটি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সমন্বয় এবং তথ্য সংগ্রহে একটি কমিটি কাজ করবে।
আদেশে বলা হয়েছে, কমিটিতে থাকা কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিদিন ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব আছে এমন তিনটি এলাকা পরিদর্শন করবেন।