মৌসুমের প্রথম ম্যাচে চ্যালেঞ্জ কাপে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে উদযাপন করতে পারত মোহামেডান। কিন্তু ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরেছিল। অবশেষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে দিল মোহামেডান।
এই জয়ে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে মোহামেডান। ২ ম্যাচে ১ হার ও ১ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বসুন্ধরা কিংস তিনে।
কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের। এই ম্যাচে সোলেমান দিয়াবাতের একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে মোহামেডান। সাদা-কালো ক্লাবের জয়ের মাহাত্ম্য আরও রঙিন হয়ে ওঠে যখন তাদের বেশিরভাগ সময় খেলতে হয়েছে ১০ জন নিয়ে।
অর্থাৎ গোলরক্ষক হোসেন সুজন লাল কার্ড দেখলে তাকে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয়। এরপর আরিফকেও মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়। সুজনের বদলে গোল পোস্টের নিচে নামেন সাকিব আল হাসান।
কিন্তু সুজনের অভাব মোটেও বুঝতে দেননি তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বাকিটা সময় মোহামেডানের অনেক গোল সেভ করেছেন।
সোলেমান দিয়াবাতে, ইম্যানুয়েল সানডে, আর্নেস্ট বোয়েটাংদের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসকে। মিনহাজ রাকিব ও মুজাফররভ মাঝমাঠে দারুণ খেলেছেন। সব মিলিয়েই এমন জয় এসেছে মোহামেডানের।
লাল কার্ড খাড়ায় পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে ঠিকই এগিয়ে যায় মোহামেডান। সেই ব্যবধান আরও বাড়তে পারত তাদের। কিন্তু পেনাল্টি পেয়েও গোল মিস করেন দিয়াবাতে।
শুক্রবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে প্রচুর দর্শক-সমর্থকরা এসেছিল। ফ্লেয়ারও দেখা গেছে। ঠিক এই অবস্থায় কিংসের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে মোহামেডান।
প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে একটি লাল কার্ড ম্যাচের গতি পাল্টে দেয়। মোহামেডানের মোহাম্মদ সুজন লাল কার্ড দেখেন। রাকিব হোসেনের নিশ্চিত গোল বাঁচাতে গোলকিপার মোহাম্মদ সুজন বক্সের বাইরে এসে বাধা দেন। রেফারি সাইমন সানি সহকারীর সঙ্গে কথা বলে সময় নিয়ে তাকে লাল কার্ড দেখান।
একজন কম নিয়ে মোহামেডান রক্ষণ আঁটসাঁট করে কিংসের ওপর চড়াও হয়েছে। ৩০ মিনিটে আর্নেস্ট বোয়েটাংয়ের জোরালো শট গোলকিপার শ্রাবণ তালুবন্দি করেন।
৪৫ মিনিটে কিংসের মোহাম্মদ সোহেল রানার জোরালো শট মোহামেডানের বদলি গোলকিপার সাকিব আল হাসান বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন।
বিরতির পর খেলা আরও জমে ওঠে। দুই দলই সুযোগ পেয়েছে। কিংস বলের নিয়ন্ত্রণ বেশি নিয়ে আক্রমণেও এগিয়ে ছিল। তবে কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি। সাদা-কালোদের বদলি গোলকিপার সাকিব দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন। ৫৪ মিনিটে মিগেলের শটসহ একাই কমপক্ষে চারটি গোলের সুযোগ নস্যাৎ করে দেন।
চার মিনিট পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে মোহামেডান এগিয়ে যায়। রহিম উদ্দিনের থ্রু পাস থেকে দিয়াবাতে বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে একা পেয়ে জড়িয়ে দেন জালে।
৭৫ মিনিটে মোহামেডান ব্যবধান বাড়াতে পারতো। রহিম উদ্দিনকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন কিংসের এক ডিফেন্ডার। পেনাল্টির বাঁশি বেজে উঠে। দিয়াবাতের শট শ্রাবণ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।
৮৩ মিনিটে জারেদ খাসার শট গোলকিপার পা দিয়ে আটকে দিয়ে দলের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন।
ময়মনসিংহে দিনের অন্য ম্যাচে রহমতগঞ্জ ২-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারায়। দুটি গোলই এসেছে নাবীব নেওয়াজ জীবনের কাছ থেকে।