নূর হোসেন দিবস ঘিরে রবিবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। তবে দলটিকে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে রবিবার সকালে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ১০ জন ভাইরাল হওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার অডিও ক্লিপের’ নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে তার দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ছবি ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ব্যবহার করে অবৈধ মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে সেই ছবি ও প্ল্যাকার্ড সমূহ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেগুলো ভাংচুর ও অবমাননার ফুটেজ সংগ্রহের নির্দেশনা দেন।
“বাংলাদেশের সাথে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বিনষ্টের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এই অপতৎপরতার পরিকল্পনা করেছেন।”
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এ পর্যন্ত এই কুচক্রী মহলের ১০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ উস্কানিমূলক পোস্টার, ছবিসহ প্ল্যাকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মহলের যেকোনো চক্রান্ত রুখে দেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসব অপকর্মের উস্কানিদাতা, অর্থ যোগানদাতা ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এদিকে, আওয়ামী লীগের ফেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে সরকারের বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা কল রেকর্ড দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শনিবার রাত আড়াইটার দিকে দেওয়া ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ভয়েস আর্টিস্ট দিয়ে কল রেকর্ড তৈরি করে, তা বুস্ট করে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জঘন্য চক্রান্ত করছে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার।
“জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি এবং সত্য গোপন করার এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য।”
এ বিষয়ে সতর্ক করে আওয়ামী লীগের পোস্টে বলা হয়, “আওয়ামী লীগের সবাইকে ট্রোলের মাধ্যমে ব্যস্ত রেখে, সরকারের চলমান অপরাধগুলো সুন্দরভাবে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। সাবধান, আসল সমস্যা নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে আমাদের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”