প্রথম সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্টার্নশিপ চালু করল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ইন্টার্নশিপ নীতিমালার আওতায় প্রথম ধাপে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন ১০ জন, যাদের মধ্যে ছয় জন নারী ও চার জন পুরুষ।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইন্টার্নদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে এই ইন্টার্নশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেখানে আবেদন করেন ১ হাজার ৯৪ জন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন ৭৮ জন। মৌখিক পরীক্ষায় উপস্থিত ৪৩ জনের মধ্যে বেছে নেওয়া হয় ১০ জনকে। এই ইন্টার্নশিপের সময়সীমা ৩ মাস, সে হিসেবে আগামী ৩০ জুন এদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রশিক্ষণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। ইন্টার্নদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনসেবকে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি, বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্যই ইন্টার্নশিপ নীতিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।
দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ ছিল না। ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর ইন্টার্নশিপ নীতিমালা ২০২৩-এর গেজেট প্রকাশের পর তা বাস্তবায়নের প্রথম উদ্যোগ নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্ট গবেষণা কার্যক্রম, ডিজিটাল রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ও মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের কার্যাবলি ক্যাটাগরিতে নিজেদের অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেওয়া হবে ইন্টার্নদের।
মন্ত্রণারয়ের তথ্য অনুযায়ী, তাদের রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ সম্বন্ধে ধারণা দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানে স্বল্প সময়ের জন্য সংযুক্তি দেওয়া হবে। ইন্টার্নদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে সুপারভাইজার, থাকবে বিভিন্ন সরকারি অফিসে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থাও।