Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

যে ১০ কারণে জিততে পারেন ট্রাম্প কিংবা কমলা

Trump_Kamala_Win_10_Cause
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা এখন। সব জরিপেই দেখা গেছে, এবার জাতীয় পর্যায়সহ গুরুত্বপুর্ণ রাজ্যগুলোতে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তাই আগে থেকে জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না, শেষ হাসিটা কে হাসবেন।

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রতি ভোটারদের সমর্থনের ব্যবধান এতই কম যে, তাদের দুজনের যে কেউ জিতে যেতে পারেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয়ভাবে যেসব জনমত জরিপ হয়েছে, তার গড় করে দেখা গেছে, রবিবার পর্যন্ত কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ছিল ৪৮ শতাংশ। আর ট্রাম্পের পক্ষে ৪৭ শতাংশ।

এছাড়া দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে ব্যবধান এতই কম যে কোন প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন, তা বলাই মুশকিল। এমনকি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে দুই প্রার্থীর প্রতি ভোটারদের সমর্থন নিয়মিত ওঠানামা করতেও দেখা গেছে। ফলে জোরালোভাবে অনুমানও করা যাচ্ছে না যে কোন প্রার্থীর পাল্লা বেশি ভারী।

তাই একটু এদিক ওদিক হলেই যে কোনও প্রার্থীই জিতে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে উভয় প্রার্থীর পক্ষেই অন্তত ৫টি করে কারণ রয়েছে যেসব তাদেরকে জয় এনে দিতে পারে।

তবে যেই জিতুক, তিনিই এবার নতুন ইতিহাস গড়বেন। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়বেন। আর ট্রাম্প জিতলে ১৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একজন পরাজিত প্রেসিডেন্ট পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়বেন।

ট্রাম্প জিততে পারেন যে ৫ কারণে

১. কারণ তিনি ক্ষমতায় নেই

এবারের নির্বাচনে ভোটারদের অগ্রাধিকারের প্রথম বিষয় হলো অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে এখন বেকারত্ব কম এবং স্টক মার্কেটও ক্রমাগত চাঙা হচ্ছে। তারপরও বেশিরভাগ আমেরিকান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছেন।

২০২১ সালে কোভিড মহামারী শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সালের পর সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। এটি ট্রাম্পকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয় “আপনি কি চার বছর আগের চেয়ে এখন বেশি ভালো আছেন?” আর বেশিরভাগ ভোটারের কাছেই এই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট— ‘না’।

মহামারীর পরে জীবন যাত্রার ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে বিশ্বের বহু দেশেই ভোটাররা ক্ষমতায় থাকা দলকে ছুড়ে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদেরও এবার পরিবর্তনের জন্য ক্ষুধার্ত বলেই মনে হচ্ছে।

আমেরিকানদের মাত্র এক-চতুর্থাংশ বলেছেন, তারা দেশ যে দিকে যাচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট। অন্যদিকে দুই-তৃতীয়াংশই বলেছেন, অর্থনীতি ভালো নেই।

কমলা হ্যারিস সেই পরিবর্তনবাদী প্রার্থীটি হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একজন অজনপ্রিয় ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করায় তার ওপরও ব্যর্থতার যে দায় চেপেছে, তা থেকে তিনি নিজেকে পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেননি।

জো বাইডেনের সময় সামগ্রিক কর্মসংস্থানের সংখ্যা এবং গড় বেতন বাড়লেও ব্যাপক মূল্যস্ফীতি তার সেই সাফল্যকে ম্লান করে দেয়। বাইডেনের সময় মূল্যস্ফীতি প্রায় ২০ শতাংশে উঠেছিল। যদিও মূল্যস্ফীতির হার সম্প্রতি কমেছে, কিন্তু এখনোও জিনিসপত্রের দাম বেশি।

ভোটাররা প্রতিদিন মুদি দোকানে গেলেই তাদের ট্রাম্পের কথা মনে পড়ে। জরিপগুলোতেও দেখা গেছে, ভোটাররা মনে করেন, কমলা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্প অর্থনীতি বেশি ভালোভাবে চালাতে পারবেন।

দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারই বলেছেন, ডেমোক্রেট আমলে অর্থনীতি ভালো নেই।

২. খারাপ খবরেও তার কিছুই হয় না

ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। যার জেরে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলাও করে বসে এবং দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন এক সহিংসতা চালায়। এজন্য ট্রাম্পকে দায়ী করা হয়।

এরপর ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ভরাডুবির জন্যও ট্রাম্পকে দায়ী করা হয়। এ বছরের শুরুর দিকে একটি ফৌজদারি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

চারটি ফৌজদারি মামলায় ৯১টি গুরুতর অভিযোগ মাথায় নিয়ে এবারের নির্বাচনি দৌড় শুরু করেন ট্রাম্প। তথাপি গত এক বছর জুড়ে জরিপে ট্রাম্পের প্রতি ভোটারদের সমর্থন ৪০ শতাংশের উপরে স্থিতিশীল রয়েছে।

ডেমোক্র্যাট এবং ‘নেভার-ট্রাম্প’ রক্ষণশীলরা তাকে অযোগ্য বললেও বেশিরভাগ রিপাবলিকান ট্রাম্পের এই দাবির সঙ্গে একমত যে, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ফলে এখনো সিদ্ধান্তহীন এবং এবং যাদের ট্রাম্প সম্পর্কে কোনও বদ্ধমূল ধারণা বা দৃষ্টিভঙ্গি নেই, এমন ভোটারদের সামান্য সংখ্যকের মন জয় করতে পারলেই ট্রাম্প জিতে যেতে পারেন।

৩. অবৈধ অভিবাসন সম্পর্কে তার সতর্কবার্তা ভোটারদের মধ্যেও অনুরণিত হয়

অর্থনীতি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রায়ই একটি আবেগগত ইস্যু দিয়েও প্রভাবিত হয়। ডেমোক্র্যাটদের জন্য সেই আবেগগত ইস্যুটি এবার নারীদের গর্ভপাতের অধিকার। আর ট্রাম্প বাজি ধরেছেন অভিবাসন ইস্যুতে।

বাইডেনের আমলে মুল্যস্ফীতির মতো অবৈধ অভিবাসনও রেকর্ড হারে বাড়ে। গত জুনে বাইডেন প্রশাসন মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়ের জন্য আবেদন কঠিন করলে অভিবাসন অনেক কমেও আসে।

তারপরও অনেক আমেরিকানই মনে করে, নিজেদের ভোট বাড়ানোর জন্য ডেমোক্রেটরা অভিবাসন নীতি সহজ করে যে কোনও সময় দেশে অশ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যা বাড়াতে পারে। তাদের আরও আশঙ্কা, অভিবাসীরা তাদের জীবন-জীবিকায়ও ভাগ বসাবে।

ট্রাম্প তাদের এই আতঙ্ককে পুঁজি করার জন্য সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ এবং ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নির্বাসনে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস নতুন করে অবৈধ অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ঢুকে পড়াদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার কথা বলেছেন।

ফলে জনমত জরিপগুলোতে দেখা যায় যে, ভোটাররা অভিবাসনের বিষয়ে ট্রাম্পকে বেশি বিশ্বাস করেন। এ ছাড়া আগের নির্বাচনের তুলনায় লাতিন আমেরিকান বা হিস্পানিক অভিবাসীদের মধ্যেও ট্রাম্পের সমর্থণ বাড়তে দেখা গেছে।

বিভিন্ন ইস্যুতে ভোটাররা কাকে বেশি সমর্থন করছেন।

৪. বেশির ভাগ মানুষেরই উচ্চতর ডিগ্রি না থাকা

ভুলে যাওয়া এবং পেছনে ফেলে আসা ভোটারদের কাছে ট্রাম্পের আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে বদলে দিয়েছে। ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকদের মতো ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্রেট পার্টির সমর্থক ভোটাররাও এবার রিপাবলিকানে পরিণত হয়েছে।

এ ছাড়া শুল্কের মাধ্যমে আমেরিকান শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও শ্রমিকদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। আর দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের গ্রাম ও শহরতলির ভোটারদের মধ্যেও ট্রাম্পের সমর্থন বেড়েছে। ফলে মধ্যপন্থী, কলেজ-শিক্ষিত রিপাবলিকানরা যদি ট্রাম্পকে ভোট নাও দেন তাতেও ট্রাম্পের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।

৫. অস্থির বিশ্বে তাকে একজন শক্তিশালী মানুষ হিসাবে দেখা হয়

ট্রাম্পের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, তিনি পুতিন ও কিমের মতো কর্তৃত্ববাদী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে বিশ্বজুড়ে আমেরিকার জোটকে দুর্বল করেছেন।

তবে ট্রাম্প তার এই অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু করার বৈশিষ্ট্যকে একটি শক্তি হিসাবে দেখান এবং উল্লেখ করেন যে, তার সময় কোনও বড় যুদ্ধ শুরু হয়নি।

বিপরীতে, বাইডেন-কমলা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার সঙ্গে জড়িত। ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা করায়ও অনেক আমেরিকান রাগান্বিত এবং মনে করেন যে, বাইডেনের অধীনে আমেরিকা দুর্বল।

আর ট্রাম্পের পুরুষালি ও কর্তৃত্ববাদী আচরণের কারণেও বেশিরভাগ পুরুষ ভোটার ট্রাম্পকে কমলা হ্যারিসের চেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসাবে দেখেন।

কমলা হ্যারিস জিততে পারেন যে ৫ কারণে

১. তিনি ট্রাম্প নন

ট্রাম্পের অনেক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি গভীরভাবে বিভাজনকারী ও মেরুকরণকারী ব্যক্তিত্ব হিসাবে গণ্য হন।

২০২০ সালে একজন রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে ট্রাম্প রেকর্ড সংখ্যক ভোট জিতেছিলেন। কিন্তু এরপরও তিনি পরাজিত হন। কারণ আরও ৭০ লাখ আমেরিকান বাইডেনকে ভোট দেন।

এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস আমেরিকানদের ট্রাম্পের ফিরে আসার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছেন। কমলা তাকে ‘ফ্যাসিবাদী’ এবং গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেন এবং ‘নাটক ও সংঘাত’ থেকে ভিন্ন পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

জুলাইয়ে রয়টার্স/ইপসোস জরিপ ইঙ্গিত দেয়, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজন আমেরিকান অনুভব করে, দেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। কমলা নিজেকে স্থিতিশীলতার প্রার্থী হিসাবে দেখান এবং আশা করছেন মধ্যপন্থী রিপাবলিকান ও স্বতন্ত্ররাও তাকে ভোট দেবেন।

২. তিনি বাইডেনও নন

জো বাইডেন প্রার্থী থাকলে এবার ডেমোক্র্যাটদের পরাজয় নিশ্চিত ছিল। তাই ট্রাম্পকে হারানোর ইচ্ছায় ঐক্যবদ্ধ দলটি বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর দ্রুত কমলা হ্যারিসের চারপাশে সমবেত হয়। কমলাও দ্রুত গতিতে আরও দূরদর্শী বার্তা দেন, যা ডেমোক্রেট সমর্থকদের উদ্দীপনা যোগায়।

রিপাবলিকানরা বাইডেনের ব্যর্থতার দায়গুলো কমলার ঘাড়েও চাপাতে চেয়েছিলেন। তবে কমলা কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে তাদের কিছু বাইডেন-সংশ্লিষ্ট আক্রমণের লাইনকে অকেজো করে তুলেছেন।

এ ছাড়া বাইডেন সরে দাঁড়ানোয় তার বেশি বয়স উল্লেখ করে রিপাবলিকানরা ডেমোক্রেট প্রার্থীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে যে অভিযোগ করতেন, তাও এখন আর খাটছে না। এখন বরং ট্রাম্পই সবচেয়ে বয়স্ক প্রার্থী।

দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে বেশি ব্যয় করেছেন কমলা।

৩. তিনি নারীদের অধিকারের পক্ষে

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করার পর এটিই দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার বিষয়ে উদ্বিগ্ন ভোটাররা কমলা হ্যারিসকে অপ্রতিরোধ্যভাবে সমর্থন করেন। অতীতের নির্বাচনেও— বিশেষ করে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে— দেখা গেছে যে, ইস্যুটি ভোটারদেরকে প্রভাবিত করতে পারে এবং নির্বাচনের ফলাফলের উপর বেশ প্রভাব ফেলতে পারে।

এবার সুইং স্টেট অ্যারিজোনা সহ ১০টি অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের মতামত জানার জন্য ব্যালটে প্রশ্ন থাকবে, কীভাবে গর্ভপাত নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। এটি কমলা হ্যারিসের পক্ষে ভোটদান বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এ ছাড়া কমলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়ছেন। তার লড়াইয়ের এই ঐতিহাসিক প্রকৃতিও নারী ভোটারদের মধ্যে তার সমর্থন অনেক বাড়িয়েছে এবং আরও বাড়াতে পারে।

৪. তার ভোটার গোষ্ঠীগুলোর সকলের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি

কমলা হ্যারিস যেসব ভোটার গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে জোরালোভাবে প্রচারণা চালান, যেমন কলেজ-শিক্ষিত ও বয়স্ক ব্যক্তিরা, নির্বাচনে তাদের সকলের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। কারণ এরা বেশি সচেতন।

যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার যে গোষ্ঠী বা শ্রেণিগুলোর ভোটাররা বেশি ভোট দেয় ডেমোক্র্যাটরা শেষ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে বেশি ভোট পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প তুলনামূলকভাবে কম ভোটদানকারী গোষ্ঠী, যেমন যুবক ও কলেজ ডিগ্রি নেই এমন শ্রেণির নাগরিকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু নির্বাচনে তাদের ভোটদানের হার কম থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা জরিপ অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে যেসব গোষ্ঠী বা শ্রেণির ভোটাররা কম ভোট দেন ট্রাম্প তাদের মধ্যে সমর্থনে এগিয়ে ছিলেন।

তবে প্রশ্ন হল— এবার কি ট্রাম্পের সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর সকলে ভোট দেবে নাকি দেবে না। যদি না দেয় তাহলে কমলা লাভবান হবেন। আর যদি দেয় তাহলে কমলার হারার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

৫. তিনি ট্রাম্পের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পেয়েছেন এবং ব্যয়ও করেছেন

এটা কোনও গোপন বিষয় নয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন এখন পর্যন্ত দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার পথে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলিয়নেয়ার হলেও কমলা হ্যারিসই এবার নির্বাচনে বেশি অর্থ সাহাজ্য পেয়েছেন এবং খরচও বেশি করেছেন।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে ট্রাম্প যে পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করতে পেরেছেন কমলা গত জুলাইয়ে প্রার্থী হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন মাসে তারচেয়ে আরও বেশি তহবিল পেয়েছেন।

 ফিন্যান্সিয়াল টাইমস আরও জানায়, কমলা হ্যারিস তার নির্বাচনী প্রচারণার বিজ্ঞাপনে ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি ব্যয় করেছেন। বিশেষ করে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে কমলা হ্যারিস বিজ্ঞাপনের পেছনে ট্রাম্পের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় করেছেন, যা তাকে জয় এনে দিতে পারে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত