Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

২৪ দিনে ডেঙ্গুতে ১০০ মৃত্যু

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া  রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
[publishpress_authors_box]

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অক্টোবরের ২৪ দিনেই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়াল, যা চলতি বছরে একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ।

এর আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সেপ্টেম্বরে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা চলতি বছরে একক মাসের হিসাবে এতদিন ছিল সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৩৮ জন। চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ২৫৮ জন। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩ হাজার ১৯৬ জনে।

আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনকে নিয়ে চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০১ জনে। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ২৬৪ জনের। এর আগে গত ২২ অক্টোবর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৫০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সর্বশেষ মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে তিনজন বরিশালের ও দুইজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোশন এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা আছেন একজন করে। সাতজনের মধ্যে ছয়জনই নারী।

চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২৬৪ জনের মধ্যে ৫৩ দশমিক চার শতাংশ নারী এবং ৪৬ দশমিক ছয় শতাংশ পুরুষ। তবে আক্রান্তের দিক থেকে পুরুষের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ দশমিক তিন শতাংশ এবং নারী ৩৬ দশমিক সাত শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মোট ৫৩ হাজার ১৯৬ জনের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ হাজার ১০১ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিন হাজার ৮৩১ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়, তবে মৃত্যু বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়।

মোট ৫৩ হাজার ১৯৬ জন রোগীর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৭১ জন। আর মারা যাওয়া ২৬৩ জনের মধ্যে ১৩২ জনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরো বছরের তথ্যে দেখা যায়, বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক হাজার ৫৫ জন, মৃত্যু হয় ১৪ জনের; ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয় তিনজনের; মার্চে রোগী ছিল ৩১১ জন, মৃত্যু পাঁচ জনের; এপ্রিলে আক্রান্ত ৫০৪ জন, মৃত্যু দুইজনের; মে মাসে আক্রান্ত ৬৪৪ জন, মৃত্যু ১২ জনের; জুনে আক্রান্ত ৭৯৮ জন, মৃত্যু আটজনের।

বছরের মাঝামাঝিতে জুলাই মাস থেকে রোগী বাড়তে থাকে, ছাড়িয়ে যায় দুই হাজারের ঘর। এ মাসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬৬৯ জন, মৃত্যু হয় ১২ জন। আগস্টে কয়েকগুণ বেড়ে রোগী হয় ছয় হাজার ৫২১ জন, মৃত্যু হয় ২৭ জনের। আর আগস্টের তিনগুণ বেশি রোগী শনাক্ত হয় সেপ্টেম্বরে, মৃত্যুও হয় তিনগুণের বেশি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত