মিয়ানমার থেকে অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশের সময় গ্রেপ্তার ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে এই ১১ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার।
তিনি জানান, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে অসুস্থ একজন ছাড়া বাকিদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় ১১ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠিয়ে বাকি ১১ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সংঘাতের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের পাশাপাশি অস্ত্রধারী ২৩ রোহিঙ্গাও অনুপ্রবেশ করেছিল। এদের বিরুদ্ধে ৯ ফেব্রুয়ারি বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। এরপর তাদের উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
পরের দিন প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা ২২ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কারাগারে থাকা মো. সাদেক নামের এক রোহিঙ্গা অসুস্থ হওয়ায় তাকে রিমান্ডের অনুমতি দেননি বিচারক।
পুলিশ পরিদর্শক নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, “মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার এই ২৩ জনই রোহিঙ্গা নাগরিক। যারা উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালংয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পের নিবন্ধিত বাসিন্দা। স্বাভাবিক কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প তাদের মিয়ানমারের যাওয়ার কথা না। কিন্তু কী কারণে বা কীভাবে তারা মিয়ানমারে গেল, অস্ত্র এল কোথা থেকে, এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। আর এজন্যই রিমান্ড প্রয়োজন।”
এই দফায় তিন দিন রিমান্ড শেষে প্রয়োজন হলে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ড চাওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।