ঘূণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার ভার্চুয়ালি জরুরি সভা ডেকে এসব নির্দেশনা দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সভার শুরুতেই অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় চাহিদার ব্যাপারে জানতে চান মহাপরিচালক।
তিনি কর্মকর্তাদের অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বলেন। পাশাপাশি বিকল্প বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনা তৈরি, মোবাইল যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপকূলীয় হাসপাতালগুলোর যেকোনো চাহিদা তাৎক্ষনিকভাবে পূরণের নির্দেশও দেন।
সভা শেষে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো মঈনুল আহসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, রেমাল সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে এবং জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক ওষুধ, অন্যান্য উপকরণ উপকূলবর্তী জেলায় পর্যাপ্ত মজুত রাখতে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কামড় দেওয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য মাঠকর্মীদের মাধ্যমে উপদ্রুত অঞ্চলে নিয়মিত পরিদর্শন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে বলা হয়েছে। এই সময়ে গ্রহণ করা, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় যেন সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায় সেদিকে নজরদারী বাড়াতে হবে।
প্রয়োজনে যেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করা যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাম্বুলেন্সগুলোয় প্রয়োজনীয় জ্বালানি প্রস্তুত রাখতে হবে।
যেসব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স সচল আছে, সেখানেও অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল টিম এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। যার জরুরি হটলাইন নম্বর ০১৭৫৯১১৪৪৮৮।
পাশাপাশি এই সংকট মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।