চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপব্রেকিং বা পুরোনো জাহাজ ভাঙার ইয়ার্ড ‘এসএন করপোরেশন’-এ বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একটি পুরোনো জাহাজ কাটার সময় সেটির পাম্প রুমে বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে তাদের শরীরের ১০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সীতাকুণ্ড শিপইয়ার্ডে চালু থাকা ২৫টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মধ্যে ‘এসএন করপোরেশন’ দ্বিতীয় শিপব্রেকিং ইয়ার্ড যা আর্ন্তজাতিকভাবে গ্রিন ইয়ার্ডের সনদ পেয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইছড়ি শিপইয়ার্ডে এসএন করপোরেশন নামের ওই কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে ও আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসপাতালের ৩৬ নম্বর বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন ১২ জন। তাদের শরীরের ১০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর সবারই শ্বাসতন্ত্র কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০, আহমদ উল্লাহর ৯০, কাশেমের ৩৫, সাগরের ২৫, আল আমিনের ৮০, মইনুলের ৮০, হাবিবের ৪০, বরকতের ৫০, আনোয়ারের ২৫, রফিকের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তবে সব ধরনের কমপ্লায়েন্স মেনে কার্যক্রম পরিচালনার পরও ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা নিয়ে এসএন করপোরেশনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন ১৯৯৫ সাল থেকে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড চালু করে। স্ক্র্যাপ জাহাজ ভেঙে প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় এক লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করতে সক্ষম।
১৩ একর আয়তনের এই কারখানায় বর্তমানে ৩০০ শ্রমিক কর্মরত। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রিন শিপ ইয়ার্ড সনদ নিয়ে পরিবেশসম্মতভাবেই জাহাজ ভাঙা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।