Beta
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৯ টাকা

গৃহস্থালির রান্নার কাজে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি।
গৃহস্থালির রান্নার কাজে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি।
[publishpress_authors_box]

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে ১৯ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য সরকার নতুন যে দর ঠিক করেছে, তাতে কেজিতে ১ টাকা ৯৭ পয়সা হারে বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশেও এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

নতুন দর অনুযায়ী, রান্নায় বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা করা হয়েছে। অন্যান্য এলপিজি সিলিন্ডারের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে।

রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ নতুন এই দর ঘোষণা করেন। যা সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমলেও ‘টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ার’ কারণ দেখিয়ে নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার।

তবে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ায় মাসের মাঝামাঝিতে এসে এলপিজির দাম বাড়ায় বিইআরসি গৃহস্থালির কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ায় ৪ টাকা।

তার আগে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির দাম টানা দুই মাস অপরিবর্তিত রেখেছিল বিইআরসি। জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ায় সংস্থাটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

রবিবার বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারির জন্য সৌদি আরামকো ঘোষিত প্রোপেন এবং বিউটেনের গড় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি টন ৬২৮ দশমিক ৫০ ডলার, যা জানুয়ারিতে ছিল ৬১৮ দশমিক ৫০ ডলার।

সেই বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, রেটিকুলেটেড এলপিজির দাম হবে প্রতিকেজি ১১৯ টাকা ৪১ পয়সা, খুচরা পর্যায়ে প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা।

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত।

এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত