ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার (৩ মার্চ) বেলা ৩টায় নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), যা এদিন সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে ঘোষিত দাম কার্যকর হতে দেখা যায় না। সাধারণত ঘোষিত দামের তুলনায় বেশি দামে বাজারে সিলিন্ডার বিক্রি হতে দেখা যায়।
গৃহস্থালির রান্নার কাজে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বেশি।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও বাড়িয়েছিল বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৭ টাকা ৭৬ পয়সা।
জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা করা হয়েছিল।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে। আমদানিকারক কোম্পানির ইনভয়েস মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা।
গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।