Beta
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে সরকারি হিসাবে নিহত ১৪৭

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সংগৃহীত
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় সারাদেশে ১৪৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

কয়েকদিনের সংঘর্ষে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে রবিবার সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এই সংখ্যা জানানো হলো।

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গ্রেপ্তার নয় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুই শতাধিক বলে প্রচার করা হলেও এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় কখনও বলা হচ্ছে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসলে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রসহ বিভিন্নভাবে এই তথ্য জানা গেছে।”

মন্ত্রী বলেন, “এখনও সংশ্লিষ্টরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। এরপর যদি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংখ্যাটি বাড়তে পারে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্র, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।”

নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রমও চলছে বলে জানান তিনি। বলেন, পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এছাড়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “পুলিশ যদি মনে করে তারা ঝুঁকিমুক্ত তাহলে তখনই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা নিজেরাই বলছিলেন যে তারা ঝুঁকিতে আছেন। তাই তাদের নিরাপত্তার জন্যই নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, কোন কোন রাজনৈতিক দল বা কারা তাদের প্ররোচনা দিয়েছে। কারণ, পরবর্তীতে আন্দোলন সহিংস রূপ নিয়েছিল। তবে তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগের দিন বিকালে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে নিয়ে যায় ডিবি। সবশেষ রবিবার আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়ার কথা জানা যায়।

সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় এ মাসের শুরুতে। ১৫ জুলাই থেকে সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। পরবর্তী কয়েকদিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত