ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেওয়ার ধারবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সভাপতিদের একদিন আগেই অব্যাহতি দিয়েছে সরকার।
এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিভিন্ন ফেডারেশন ও এসোসিয়েশনে তাদের ১৬ জন কর্মকর্তাকে অপসারণ করেছে। যাদের আসলে সেই অর্থে ফেডারেশনে কোনও কাজ কর্মই ছিল না। আলঙ্কারিক হিসেবে পদগুলো ধরে রেখেছিলেন এই সব কর্মকর্তরা।
এসব কর্মকর্তারা কেউ এনএসসির মনোনীত হয়ে ছিলেন। আবার কেউ বিভিন্ন সংস্থায় কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচিত ছিলেন। মনোনীত ও নির্বাচিত সবাইকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অপসারণ করেছে।
শরীর গঠন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক পরিচালক প্রশাসন শেখ হামিম হাসান। সেই অ্যাডহক কমিটির সম্পাদককে অপসারণ করেছে এনএসসি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রশিক্ষক কামরুল ইসলাম কিরণ আর্চারি ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের সাবেক পিএস রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাতও আর্চারি ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর্চারি ফেডারেশনের দুই সহকারী সম্পাদক অপসারিত হয়েছেন।
বক্সিং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদ থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দা তাসলিমা আক্তারকে, সদস্য থেকে মাঠ কর্মচারি মোঃ সেলিমকে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাইক্লিং কোচ শহিদুর রহমানকে সাইক্লিং ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে, ভারোত্তোলন কোচ ফারুক আহমেদ সরকারকে ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন, উশু সহ আরো কয়েকটি সংস্থা থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এসব কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ফেডারেশনের পদে যাওয়া নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনা ছিল।