Beta
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
বললেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

এই সময়ে আরও দু’তিনটি স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলা যায়

জাতীয় স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

জাতীয় স্টেডিয়ামের নির্মাণযজ্ঞ যেন শেষই হচ্ছে না। গত চার বছর ধরে শুধু সংস্কার কাজ চলছে আর চলছে। এসব দেখে রীতিমতো বিরক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সোমবার তিনি এসেছিলেন ৪৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে প্রধান অতিথি হয়ে। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করে ১০০ মিটার পুরুষ স্প্রিন্ট ইভেন্টের পুরস্কারও দিয়েছেন। এরপর ক্রীড়া উপদেষ্টা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনে চলমান প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন।

স্টেডিয়াম সংস্কারে ধীরগতিরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পাঁচ বছর ছয় বছর ধরে এই স্টেডিয়ামের কাজ চলছে। এই সময়ে তো দু’তিনটি স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলা যায়। এর মধ্যে প্রকল্পের সময় আরও একবার বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছিল। আমরা তা নাকচ করে দিয়েছি। আমরা চেয়েছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে খেলা ফেরাতে। মাঠ বাফুফেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। ফ্লাডলাইটসহ বাকি কাজও মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আবার আন্তর্জাতিক ম্যাচসহ অন্য খেলা আয়োজন করা যাবে।”

স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষের পর তা বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখবেন বলে জানালেন উপদেষ্টা, “কাজ শেষের পর আমরা অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো এত সময় কেন লাগলো এবং কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা।”

জাতীয় অ্যাথলেটিকসে আগের মতো বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেমন সাফল্য নেই। ঘুরে ফিরে সেই একই মুখ আসছে। এ নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, “অলিম্পিকে অধিক জনবহুল দেশের মধ্যে আমাদেরই কোনও পদক নেই। আমাদের প্রান্তিক পর্যায় থেকে অ্যাথলেট উঠে আসছে না। আবার যারা আসছে তারা উন্নত প্রশিক্ষণ পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করার জন্য। আমরা খেলাধুলা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে মেধাবী খেলোয়াড় তুলে আনার পরিকল্পনা করছি। পাশাপাশি স্পোর্টস ইনস্টিটিউট নির্মাণের চেষ্টা করছি। যেখানে আধুনিক ও উন্নত মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।”

স্টেডিয়াম সংস্কার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।

নারী ফুটবলে ১৮ জন খেলোয়াড় বিদ্রোহ করেছিল। আপাতদৃষ্টিতে তা অবসান হয়েছে। উপদেষ্টার দৃষ্টিতে ডিসিপ্লিন সবার আগে। তা আজও মনে করিয়ে দিলেন এভাবে, “একুশে পদক থেকেই তো বোঝা যাচ্ছে মেয়েদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সাফ জিতেছে বলেই  সেই সম্মানটা তাদের দেওয়া হচ্ছে। ফেডারেশনের সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে… দেখুন স্পোর্টসের সঙ্গে আরেকটা শব্দ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত তা হলো ডিসিপ্লিন। এটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বাফুফের। বাফুফে হলো স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রণালয় শুধু সমন্বয় করে, আমরা সমন্বয় করছি। বাফুফে একটা সমাধানে পৌঁছাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। স্পোর্টসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ ডিসিপ্লিনের সঙ্গে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।”

ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতি নিয়ে জিরো টলারেন্স অবস্থান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা ফেডারেশনগুলোকে গত দুই বছরের অডিট রিপোর্ট দিতে বলেছি। আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করবো। যারা অডিট রিপোর্ট দেয়নি তাদের ফান্ড স্থগিত রয়েছে। আমরা ফেডারশেনগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি ক্রীড়া দুর্নীতিবাজরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রয়োজনে তারা দুদকে যেতে পারেন।”

বাংলাদেশের হকির অন্যতম তারকা রাসেল মাহমুদ জিমি আসন্ন এএইচএফ কাপের জন্য ৫৮ জনের ফিটনেস টেস্টের দলে জায়গা পাননি! ৩২ বছরের বেশি বয়সের খেলোয়াড়দের না ডাকার পণ ফেডারেশনের। ফিটনেস নয় বয়সই তাদের কাছে মুখ্য! এ নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। হকি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করবো। ”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত