খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার যুবলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. আরিফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
খুলনা আড়ংঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আরিফ হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা। নিহতের বাবা সিআইডির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বাদী হয়ে নগরীর আড়ংঘাটা থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
অপর মামলাটি হয়েছে অস্ত্র আইনে জানিয়ে এসআই রবিউল বলেন, এই মামলার বাদী সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল ইসলাম।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে আড়ংঘাটা এলাকা থেকে মো. সুজন সরকার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আড়ংঘাটা রেলস্টেশন এলাকা থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে কুয়েট পকেটগেট এলাকার নিজ বাড়ির সামনে সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলামকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার বিকালে খানাবাড়ি ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আরিফুল ইসলাম খানজাহান আলী থানার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক ও দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপোল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন। সবশেষ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি হেরে যান। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে কুয়েট পকেট গেটের খানাবাড়িতে থাকতেন।