শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুই পরিছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার উত্তর ডামুড্যা এলাকার একটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন।
পুলিশের ধারণা, সেপটিক ট্যাংকে নেমে অক্সিজেনের অভাব ও বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন– বগুড়ার সোনাতালা এলাকার দুলু শেখের ছেলে মালেক শেখ (৩৫) ও একই এলাকার আফসার বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে উত্তর ডামুড্যার আনোয়ার সরদারের সেপটিক ট্যাংক মোটর যন্ত্র দিয়ে পরিষ্কার করছিলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী মালেক শেখ ও লিটন বেপারী। এক পর্যায়ে মোটরে সমস্যা দেখা দিলে লিটন সেপটিক ট্যাংকে নামেন। কিছুক্ষণ পর তার কোনও সাড়া না পেয়ে মালেকও ট্যাংকে নামেন।
এরপর অনেকটা সময় পেরুলেও সাড়া-শব্দ না পেয়ে তাদের সঙ্গে আসা ভ্যানচালক বিপ্লব ও তার সহযোগী বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান। পরে বাড়ির মালিক ফোনে ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে মালেক ও লিটনকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
বাড়ির মালিক আনোয়ার সরদার বলেন, “সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুই কর্মীর কোনও সাড়া না পেয়ে ওদের সহযোগীরা আমাদের জানালে আমরা দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেই। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।”
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, “সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে মালেক ও লিটন নামে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী মারা গেছে। সেপটিক ট্যাংকে অক্সিজেনের অভাব ও বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।