ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বরিশাল নগরীতে দেয়াল ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে পাশের একটি টিনশেড হোটেলের ওপর পড়লে এই প্রাণহানি ঘটে।
নিহতরা হলেন- হোটেলের মালিক লোকমান হোসেন (৬০) ও কর্মচারী মোকসেদুর রহমান (২৫)।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহামুদ জানান, হোটেলের মালিক ও কর্মচারীরা হোটেলের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। আহত আরেক কর্মচারী সাকিবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, বৃষ্টির সঙ্গে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল পলাশপুর, রসুলপুর এলাকার পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে।
অন্যদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সড়কে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। সাগর এখনও উত্তাল বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আইলার চেয়ে রেমালের প্রভাব বেশি বলে মনে হচ্ছে। তবে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং দুদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ মিলছে না। মাঠে থাকা মরিচ ও ডালের পাশাপাশি আমের ক্ষতি হয়েছে পুরোটাই।