অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা।
রবিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ জুলাই শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর শূন্যতা পূরণে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত এই সরকারের উপদেষ্টা করা হয় ১৬ জনকে।
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও অধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান শুভ্র।
উপদেষ্টা হিসেবে আরও শপথ নেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, উবিনীগের ফরিদা আক্তার, ব্রতীর শারমিন মুরশিদ, গ্রামীণ ব্যাংকের নূরজাহান বেগম, হেফাজতে ইসলামের নেতা আ ফ ম খালিদ হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাহিদ ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সেদিন ঢাকায় না থাকায় দুদিন পর রবিবার শপথ নিলেন ডা. বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে এখন কেবল বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজমের শপথগ্রহণ বাকি। দেশের বাইরে থাকায় এখনও শপথ নেওয়া হয়নি তার।
বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পরদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজের হাতে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রেখে বাকিগুলো ১৩ উপদেষ্টার মধ্যে বণ্টন করা হয়।
শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা শপথ নেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ গ্রহণ করেন নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর শনিবার রাতে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সৈয়দ রেফাত প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে। এক সময়ের অ্যাটর্নি জেনারেল ইশতিয়াক ১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ছিলেন। বিচারপতি রেফাতের মা ড. সুফিয়া আহমেদ ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক।
১৯৮৪ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করা সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান। হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতার তালিকায় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজের পর তৃতীয় জ্যেষ্ঠতম বিচারক ছিলেন তিনি।