Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

জনসংখ্যার ২০% মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর নির্ভরশীল : মন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

দেশের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, এই খাতের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়।

শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইভস্টক ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের (এফএও) আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “১৯৭৩ সালে এক আবেগঘন বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের এই জাতিকে, আমাদের এই যাত্রাপথকে কেউ রুখতে পারবে না।’

“বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি, ইনশাআল্লাহ এই দিন থাকবে না।’ বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যের স্পিরিটটি ধরেই আমরা এ পর্যায়ে এসেছি।”

সঠিক নীতিমালা প্রণয়নে জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের এই লাইভস্টকের উন্নয়নের জন্য ও এর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন খুবই জরুরি এবং এর একটি আইনগত ভিত্তিও থাকা দরকার। লাইভস্টক সেক্টর আমাদের দেহের শুধু পুষ্টিই যোগায় না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে।”

জাতীয় জীবনে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও লাইভস্টকে একটা বড় উপাদান হিসেবে উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, “দারিদ্র্য দূর করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত কণ্ঠে যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন লাইভস্টক ও মৎস্য সেক্টরকে বাদ দিয়ে তা অর্জন করা যাবে না।”

সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে একটা সঠিক পলিসি নির্ধারণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে– এমন অভিমত দিয়ে তিনি জানান, এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পলিসি নির্ধারণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত