যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা ফিলিস্তিনের গাজায় যু্দ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার নর্থইস্টার্ন, আরিজোনা স্টেট ও ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটিতে যায় পুলিশ।
বোস্টন পুলিশ নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ১০২ জনকে আটক করে। এপি বলছে, পুলিশ ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের তাঁবু ছিনিয়ে নেয়।
আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁবুগুলোর সামনে ইহুদিদের বিরুদ্ধে স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড ঝোলানো থাকায় তারা পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই দিন আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ৬৯ ও ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে আরও ২৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে হওয়া ছাত্র আন্দোলনের পর এবারই প্রথম দেশটিতে কোনও বিক্ষোভ দমাতে গণহারে শিক্ষার্থীদের আটক করা হচ্ছে।
এবারের যুদ্ধবিরোধী ও গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে মূল আন্দোলনের সূত্রপাত হয় কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে। সেখান থেকেই আন্দোলন এখন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ছাত্র আন্দোলন রুখতে বিশ্ববিদ্যালয় ও বাইডেন প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এসময় অনেক জায়গায় আন্দোলনরতদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ছাত্র আন্দোলন খুব দ্রুতই বিশ্বের অন্য অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়াতেও ফিলিস্তিনের পক্ষে রাস্তায় মানুষ নামে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন ইসরায়েল ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়।
ইসরায়েলি লবি গ্রুপগুলো ও খোদ বাইডেন প্রশাসনের অনেকেই এই ছাত্র আন্দোলনকে ইহুদিবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন। কিন্তু মজার বিষয়, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির দুইটি ইহুদি সংগঠনই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তথ্যসূত্র : এএফপি, এপি।