Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলার আপিল শুনানি নতুন করে শুরু

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিনটি স্মরণ করে আসছে আওয়ামী লীগ, তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবছর তাদের কোনও কর্মসূচি ছিল না।
[publishpress_authors_box]

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন এবং তাদের করা আপিলের ওপর শুনানি নতুন করে শুরু হয়েছে হাই কোর্টে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

শুনানিতে মামলা বিত্তান্ত তুলে ধরার পর পেপারবুক থেকে মামলার এজাহার তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

জসিম সরকার জানান, বেঞ্চ পুনর্গঠন ও এখতিয়ার পরিবর্তনের কারণে নতুন করে মামলাটির শুনানি শুরু হয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি চলবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিচার শেষে ৬ বছর আগে বিচারিক আদালতে রায় হয়েছিল।

দুই বছর পর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শুরু হয়।

বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে সেই শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল।

এর মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারক পদত্যাগ করেন।

এরপর নতুন প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর হাই কোর্ট বিভাগের ৫১টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হয়। আহত হয় অনেকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।

খালেদা জিয়ার সরকার আমলে এই মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে।

২০০৮ সালে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সিআইডি তদন্ত করে বিএনপি আমলের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর সরকারের আবেদনে অধিকতর তদন্ত হয়। তাতে আসামির তালিকায় যোগ হয় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম আসামির তালিকায় যোগ হয়।    

হামলার ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বহুল আলোচিত এ মামলার রায় দেয় ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়।

তারেক রহমান, খালেদার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত