বাংলা ভাষার সাথে প্রতারণা করছে শাসকশ্রেণি
বর্তমানে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ কথাটা তুলে দেওয়ার মতো রাজনৈতিক সাহস শাসকশ্রেণির নেই। কিন্তু সেটাকে ওই প্রতিশ্রুতিতেই সীমিত রেখে তলে তলে খনন করে সেটাকে দুর্বল করে ফেলা, ভেঙে ফেলা। সেটাই চলছে এখন।
শিরোনাম: বাহান্নর ভাষা আন্দোলন (Language Movement ’52) প্রিন্ট নম্বর: ৩/১০ মাধ্যম: এচিং-অ্যাকুয়াটিন্ট আকার: ৩০ সেমি x ৩৭ সেমি সাল: ২০১৭ সংগ্রহ: ব্যক্তিগত শিল্পী: সমরজিৎ রায় চৌধুরী (জন্ম: ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ — মৃত্যু: ৯ অক্টোবর ২০২২)
বর্তমানে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ কথাটা তুলে দেওয়ার মতো রাজনৈতিক সাহস শাসকশ্রেণির নেই। কিন্তু সেটাকে ওই প্রতিশ্রুতিতেই সীমিত রেখে তলে তলে খনন করে সেটাকে দুর্বল করে ফেলা, ভেঙে ফেলা। সেটাই চলছে এখন।
বর্তমানে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ কথাটা তুলে দেওয়ার মতো রাজনৈতিক সাহস শাসকশ্রেণির নেই। কিন্তু সেটাকে ওই প্রতিশ্রুতিতেই সীমিত রেখে তলে তলে খনন করে সেটাকে দুর্বল করে ফেলা, ভেঙে ফেলা। সেটাই চলছে এখন।
শাঁসকে বাদ দিয়ে যখন কোনও দিবসকে ধর্ম বানিয়ে তুলে তাকে পুজোর অর্ঘ্য দেওয়া হয়, তখন পুরো ব্যাপারটাই হয়ে ওঠে অন্তঃসারশূন্য। ধর্মের চেয়ে ধর্মের জবরদস্তিটাই মুখ্য হয়ে পড়ে। ঘরে বাইরে উপন্যাসে এটা নানাভাবে বলে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আমরা বাংলাকে ত্যাগ করছি এমনভাবে যেন এ দেশে কখনও ভাষা আন্দোলন হয়নি, যেন বাংলার মর্যাদার প্রশ্নটি আমরা শুধু উর্দুর বিপরীতে তুলেছি, যেন এখন বাংলা ভাষা আমাদেরকে দেয়া একটা ‘মাল্টিপল চয়েস’ মাত্র
মাতৃভাষার সুরক্ষায় রাষ্ট্রের আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, রাজনৈতিক দর্শন ও নীতি বৈষম্যহীন ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। একটি ভাষা টিকে থাকবার অনেক শর্তের ভেতর কাজ করে তার সাহিত্য ও যাপিতজীবনের চর্চার নিরাপত্তা, স্বীকৃতি ও মর্যাদা।
একুশে ফেব্রুয়ারি তখনও বাঙালির নিতান্ত ঘরোয়া অনুষ্ঠান। গলির মোড়ে মাইকে আবদুল গাফফার চৌধুরীর অমর লাইনগুলো শোনা যেত, স্থানীয় সব শহীদ মিনারে বাচ্চাদের ফুল রাখার সাথে বাজত আলতাফ মাহমুদের সুর, সব মিলিয়ে গোটা ব্যাপারটা ছিল তীব্র আবেগের অথচ আটপৌরে।
এই দিন এমনই যা কখনো হয় না পুরানো। বছর ঘুরে প্রতিটি অন্য দিনের মত এই দিনটি হয়ে ওঠে নতুন এক নিজেকে খুঁজে পাওয়ার দিন— প্রেরণার দিন।
কারও চোখে একুশে ফেব্রুয়ারি শোকের দিন, সঙ্গে গৌরবেরও; এখন তা উদযাপনের দিন হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
জনগণ জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে চলে। তাই সরকারকেও কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের প্রতি দায় থেকে আমাদের কিছু করার আছে।
দিবসটি আসলে কী— বেশিরভাগের উত্তর আসে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। কেউ কেউ আবার ত্বরিত সংশোধন করে বলেন, “মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস।”