লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হঠাৎ ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে এই হামলার চালানো হয়। বিবিসি তার নিজস্ব সংবাদদাতার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শহরের শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত বাচৌরা এলাকায় তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
অসমর্থিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ শ্যালক ও দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতা ওয়াফিক সাফাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ। যদিও একটি সূত্র বলছে, ওয়াফিক সাফা হামলা থেকে বেঁচে গেছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যা করছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত যারা বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সাফা। যিনি ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠিটির নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো দেখভাল করেন।
মূলত বাচৌরার দুটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা নিউরি ও বাস্তার আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যেখানে অনেকগুলো আবাসিক ভবনের পাশাপাশি ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ছিল। কোনও ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই এই হামলা চালানো হয়, যে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের আট সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে তিনটিই শিশু।
এছাড়া হামলায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত দুই সদস্য রাস আল নাকুরায় তাদের সদরদপ্তরের কাছে একটি পর্যবেক্ষণ চৌকিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় ইসরায়েলের ট্যাংক থেকে চালানো গোলার আঘাতে তারা আহত হন। তারা দুজন ইন্দোনেশিয়া সেনাবাহিনীর সদস্য।