Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

২৩ নাবিকই ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে

বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের উচ্ছ্বাস। ছবি : ফেইসবুক থেকে নেওয়া
বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের উচ্ছ্বাস। ছবি : ফেইসবুক থেকে নেওয়া
[publishpress_authors_box]

সোমালিয়ার দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া সমুদ্রবন্দরে পৌঁছেছে। সেখানে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা নামানোর পর পাশের আরেকটি বন্দরে গিয়ে নতুন পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। আর জাহাজটি বাংলাদেশে চালিয়ে নিয়ে আসবেন জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া সেই ২৩ নাবিক।

তিন দিন আগে ২১ নাবিক জাহাজে এবং দুজন উড়োজাহাজে করে দেশে ফিরবেন– এমনটা জানা গিয়েছিল। সোমবার সেই নাবিকদের বরণ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে যান জাহাজের মালিকপক্ষের একটি দল। সেখানে আলাপের পর সবাই একমত হয়েছেন, ২৩ নাবিক একযোগে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজেই দেশে ফিরবেন। মে মাসের মাঝামাঝিতে দেশে ফেরার সম্ভাবনা থাকলেও ঠিক কখন তারা দেশে ফিরবেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা নিশ্চিত ২৩ নাবিকের সবাই আবদুল্লাহ জাহাজেই দেশে ফিরবেন। প্রথমে কয়েকজনের বিমানে ফেরার কথা থাকলেও তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে একসঙ্গে দেশে ফেরার মনস্থির করেছেন।”

তিনি বলেন, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। আর জাহাজে থাকা কয়লার গুণগতমান ঠিক আছে। পণ্যের আমদানিকারক সেগুলো দেখেছেন। কয়লা খালাস চলছে। ফলে আর কোনও সমস্যা নেই।

ঈদের আগে পরিবার ও স্বজনদের পক্ষ থেকে ২৩ নাবিককে মুক্ত করে দেশে ফেরানোর আকুতি জানানো হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং জাহাজ মালিকদের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানানো হয় পরিবার ও স্বজনদের পক্ষ থেকে।

গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে।

নানা দেনদরবার শেষে মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হলে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হয়। ঘটনার ৩২ দিন পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা আবদুল্লাহ জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দর রওনা হয় জাহাজটি।

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ‘অপারেশন আটলান্টা’র জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে শনিবার রাতে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে জাহাজটি। রবিবার জাহাজটি হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি মেলায় সোমবার জাহাজটি সেখান থেকে চালিয়ে বন্দরে নিয়ে আসেন হামরিয়া বন্দরেই নিয়োজিত আরেক বাংলাদেশি মেরিনার ক্যাপ্টেন আখতারুজ্জামান। এখন সেই জাহাজ থেকে কয়লা নামানোর কাজ চলছে।

জেটিতে পৌঁছানোর পর নাবিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করতে বাংলাদেশ থেকে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে একটি দল আরব আমিরাত যায়। দলটি নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করে এবং নাবিকরা তাদের পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন।

জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, জাহাজ থেকে কয়লা নামাতে পাঁচ দিন সময় লাগবে। ফলে সেই সময় পর্যন্ত হামরিয়া বন্দরেই থাকবে জাহাজটি। এরপর হরমুজ প্রণালীর নিকটবর্তী আমিরাতের রাস আল খাইমাহর মিনা সাকর বন্দরে গিয়ে বার্থিং নেবে। সেখান থেকে নতুন পণ্য বোঝাই করতে আরও তিনদিন লাগবে। এরপর জাহাজটি চট্টগ্রাম রওনা করবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত