আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা ১৮ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আট সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আদালত পরিদর্শক আমির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক সরকারে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু; নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী; সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন; সাবেক প্রবাসী ও কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ; সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক; সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য;
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান; সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান; সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল; সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এছাড়া সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ, শহিদুল ইসলাম বকুল, এ কে এম সরওয়ার জাহান, শেখ আফিল উদ্দিন, মেহের আফরোজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শেখ হেলাল উদ্দিনকেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।।
এর আগে দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাবেক ১০ মন্ত্রী ও তিন সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদদ আলী সালাম শুনানি করেন।
এছাড়া দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক আট মন্ত্রী ও পাঁচ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এই আবেদনে দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
আলাদা দুই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত মোট ২৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক এই পট পরিবর্তনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনও নেতা বা মন্ত্রীকেই। তবে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এমন কয়েক নেতাও এখন রয়েছেন কারাগারে।