Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

মিছিলে বোমা হামলার মামলা : খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

আরও একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবারের মামলাটি করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে।

বুধবার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম শরীফুর রহমানের আদালত খালেদা জিয়াসহ মোট ২৬ জনকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা থেকেও খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩। পরদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাতেও হাইকোর্টে খালাস পান তিনি।

এছাড়া গত ২৪ অক্টোবর গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শাজাহান খানের মিছিলে বোমা হামলার মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, দলটির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন (মৃত), স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আ. কাইয়ুম ও বিএনপির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু।

এছাড়া আরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে মোস্তফা, মামুন, মানিক, আব্দুর রহিম, মো. শফিকুল ইসলাম খান, মো. ওসমান গনি, মো. খোকন মিয়া, মো. রেজাউর রহমান ফাহিম, মো. মিজানুর রহমান সোহাগ, এসএম আমিনুর রহমান, সৈয়দ সাহাদাৎ আহম্মাদ, মাসুদ ইব্রাহিম, মো. মাহফুজুল হক, মো. সাইদুল ইসলাম ও রেজাউর করিম শাহিনকে।

গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুস ছোবহান আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতেও সুপারিশ করেন তিনি।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ডাকা মিছিলে অনেক লোক ছিল। তারা মিছিল করে বেলা ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরের কাছে পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা লোকজন কয়েকটি বোমা ছোড়ে।

এতে মিছিলে থাকা লোকজন আহত হয় এবং মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আহত লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। মিছিল চলাকালে কে বা কারা কোন দিক থেকে বোমা নিক্ষেপ করে তার কোনও প্রত্যক্ষ সাক্ষী বা কে কে বোমা নিক্ষেপ করে তা তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা বা পরে একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা শনাক্ত করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় কারও জবানবন্দিও রেকর্ড নেই।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, “তদন্তকালে কোনও সাক্ষী এজাহারনামীয় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রদান করেননি। মামলাটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় তদন্তকালে বর্তমানে ঘটনাস্থলের আশপাশের তৎকালীন সময়ে কোনও লোকজন না থাকায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও সাক্ষী পাওয়া যায়নি। এ মামলায় কোন আসামি শনাক্ত করতে না পারায় এবং বাদী এজাহারে যে তথ্যে ভিক্তিতে নাম উল্লেখ করেন তা ভুল থাকায় এবং এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় মামলাটি অহেতুক বিলম্ব না করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্যরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের জন্য গুলশানে সমবেত হন। সেখানে সমাবেশ শেষে ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে রওনা হলে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ১৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন বাচ্চু বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত