প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে সাত দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহর আদালত এই অনুমতি দিয়েছে।
আসামিরা হলো আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তারা তিনজনই বনানী বিদ্যানিকেতনের সাবেক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ রয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল শনিবার বিকালে ক্যাম্পাসের সামনে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র পারভেজকে। ২২ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে।
এ ঘটনায় রবিবার ভোরে বনানী থানায় মামলাটি করেন নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ন কবীর। রবিবার মধ্যরাতে মহাখালীর ওয়ারলেস গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ছাত্রদল বলছে, তাদের সক্রিয় কর্মী পারভেজ জুলাই আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন।
পারভেজ হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
প্লাটফর্মটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য দাবি ও গণ–অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্মকে কলঙ্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে ছাত্রদল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহত হন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার ইন্সপেক্টর এ কে এম মঈন উদ্দিন গ্রেপ্তার তিনজনকে সোমবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
