সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। তারা হলেন- কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তার।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।
সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন মাসুদ, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তারকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ সালের ১২ জুন, ১৯ অক্টোবর ও ৭ জুলাই প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাদের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে পরের দিন ৮ মার্চ সমিতির সম্পাদক নাহিদ সুলতানা যুথি ও সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হকের সমর্থকদের মারামারি হয়।
ওই ঘটনায় আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামির তালিকায় সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ ও জাকির হোসেন মাসুদের নামও আছে।
অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদসহ ছয় জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ মার্চ মধ্যরাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নীল প্যানেল থেকে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন জয়লাভ করেন। সভাপতিসহ চারটি পদে জয় পায় নীল প্যানেল।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগপন্থী বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাদা প্যানেল থেকে শাহ মনজুরুল হক সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন। সম্পাদকসহ মোট ১০টি পদে জয়লাভ করে সাদা প্যানেল।