ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসির রশিতে ঝুলতে হচ্ছে।
তিন বছর আগের ঘটনার মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মো. রাকিব (২৩) এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন (২৬)।
এছাড়া লাশ গুমের দায়ে তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি আসামিদের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারক।
রায়ে পাঁচ আসামির মধ্যে দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- আলী আকবর ও মো. রিয়াজ।
রায়ের সময় কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ ও শাওনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব ও শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
২০২২ সালের ১১ জুন আটিবাজারের বামনসুর এলাকায় একটি পুকুরে ওই কিশোরীর লাশ ভঅসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিয়েছিল।
পরে মামলা হলে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত পায়। শাওনকে গ্রেপ্তারের পর তিনি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
শাওন বলেন, তিনিসহ রাকিব, সজিবসহ অন্যরা মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পুকুরে ফেলে দেন।
২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই অলক কুমার দে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার রায় দিল ট্রাইব্যুনাল।