Beta
রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

স্বাস্থ্যের বৈষম্য-বঞ্চনা খুঁজতে ৩ সদস্যের কমিটি

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ আকমল হোসেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ আকমল হোসেন।
[publishpress_authors_box]

নানা ঘটনা পরিক্রমা ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার স্বাস্থ্য খাত সংস্কার করতে বদ্ধ পরিকর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ আকমল হোসেন।

তিনি জানিয়েছেন, এই খাত সংশ্লিষ্ট যারা নিজেদের বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার বলে মনে করেন তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সচিব।

আকমল হোসেন বলেন, “বৈষম্যের শিকার এবং পদবঞ্চিত হওয়ার অনেক অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। এই বৈষম্য এবং বঞ্চিতদের বিষয়ে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একজন যুগ্ম সচিবসহ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

“এই কমিটি বৈষম্য এবং পদ বঞ্চনার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে এবং এগুলো একটি কাঠামোর ভেতর নিয়ে আসবে। যাতে করে সংক্ষুদ্ধরা যেন প্রতিকার পেতে পারেন।”

সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দপ্তরে রদবদল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মক্ষেত্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “১৬ বছরের বঞ্চনা তো ২৪ ঘণ্টার ভেতর দূর করা সম্ভব নয়।”

স্বাস্থ্য খাতে কোনও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না জানিয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য চান। বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্নীতি দমনের জন্য আলাদা আইন রয়েছে জানিয়ে আকমল হোসনে বলেন, “আইন অনুযায়ী মামলা হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। কিন্তু আদালতে হস্তান্তর করব না।

“যদি মনে হয়, আইন অনুযায়ী চলছে না, তাহলে সর্বোচ্চ দাপ্তরিক এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে যা করা দরকার, সেটা করা হবে। কিন্তু এখানে কোনও প্রতিহিংসা দেখানো যাবে না। আমার সহকর্মী ছিলেন এমন অনেকে কারাগারে আছেন। অথচ দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করলে তাদের গ্রেপ্তার হতে হতো না।”

সচিব বলেন, “এত ভিআইপি হাজতে আছে, আমরা যে তাদের ছেড়ে দেব সে সুযোগও এখন নেই। আমরা বিচার কাজে ইন্টারফেয়ার করার, টেলিফোনে জামিন নেওয়ায় বিশ্বাসী না। আর বিচার কাজে কোনও হস্তক্ষেপও আমরা করব না।”

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতাকে বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও এক প্রশ্নের জবাবে জানান সচিব।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত