Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

বাংলাদেশে আরও ৩০ লাখ মানুষ অতি গরিব হবে : বিশ্ব ব্যাংক

world-bank
[publishpress_authors_box]

চলতি বছর বাংলাদেশে আরও ৩০ লাখ মানুষ অতি গরিব হবে বলে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক। অতি দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে গিয়ে উঠবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বুধবার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরে শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের প্রকৃত আয় কমতে পারে।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের শ্লথগতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা গরিব মানুষের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে।

সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি, চাকরি হারানো ও অর্থনীতিতে ধীরগতির কারণে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা উন্নয়ন সংস্থাটি।

শুধু অতি দারিদ্র্য হার নয়; জাতীয় দারিদ্র্য হারও বাড়বে বলে মনে করে বিশ্ব ব্যাংক।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে উঠবে। জাতীয় দারিদ্র্য হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৭ কোটি ৩৫ লাখ।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০২৫ সাল শেষে অতি গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৬১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ জন। জাতীয় দারিদ্র্য হার বা গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ জন।

তবে, ২০২৬ সালে দারিদ্র্যের হার কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের এই প্রতিবেদনে।

মূলত প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার কারণেই মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায় কিংবা গরিব থেকে আরও গরিব বা অতি গরিব হয়।

গরিব মানুষ বৃদ্ধির কারণে হিসেবে দুর্বল শ্রমবাজার ও অর্থনৈতিক শ্লথগতির কথাও বলেছে বিশ্ব ব্যাংক।

দারিদ্র্য কী

আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা দিয়ে গরিব মানুষ চিহ্নিত করা হয়। ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) অনুসারে, দিনে ২ দশমিক ১৫ ডলার আয় করে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা কেনার সামর্থ্য না থাকলে অতি দরিদ্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা।

তবে প্রতিটি দেশের জন্য নিজস্ব একটি দারিদ্র্যরেখা ঠিক করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় দারিদ্র্যসীমার মানদণ্ড হলো খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্য ও সেবা কেনার জন্য একজন মানুষের প্রতি মাসে গড়ে ৩ হাজার ৮২২ টাকা খরচ করার সামর্থ্য যদি না থাকে, তাহলে তিনি দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবেন বা গরিব হয়ে যাবেন।

এর পাশাপাশি দারিদ্র্য পরিমাপে ১১৯ ধরনের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় আনেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তারা।

প্রকৃত আয় কীভাবে কমে

এক বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি আছে। অর্থাৎ পণ্য ও সেবা কিনতে আগের বছরের গড়ে ১০ শতাংশ দাম দিতে হচ্ছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মজুরি বাড়েনি। এতে প্রকৃত আয় কমেছে সাধারণ মানুষের।

মূল্যস্ফীতি যে হারে বাড়ে, এর কম হারে মজুরি বাড়লে প্রকৃত আয় কমে যায়। ৩ বছর ৩ মাস বা ৩৯ মাস ধরে বাংলাদেশে মজুরির হার বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম।

বিবিএসের হিসাবমতো, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরির হার বৃদ্ধি বেশি। এরপর ৩৯ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার কম। গত ৩ বছরের বেশি সময় ধরে সাধারণ মানুষের বিশেষ করে গরিব মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে।

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।

গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ আর মজুরি বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে নিম্নবিত্ত মানুষ তাদের আয়ের বড় অংশ দিয়ে নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে।

২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় ৪ শতাংশ শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন। স্বল্প-দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ২ শতাংশ ও উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের মজুরি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে থাকবে বলে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে। পরের বছর তা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শ্রমবাজারের মন্দার কারণে প্রতি পাঁচ পরিবারের মধ্যে তিনটি সঞ্চয় ভেঙে তাদের আর্থিক চাপ মোকাবিলা করছে।

নির্বাচনের সময় উত্তেজনা বাড়লে অর্থনীতি ব্যাহত হবে

বিশ্ব ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিলেও পুলিশ বাহিনী পুরোপুরি কার্যকর না হলে নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাবে। আছে নীতির ধারাবাহিকতার অনিশ্চয়তা। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার মতের অমিলের কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। এসব কারণে অর্থনীতি ব্যাহত হবে।

বিশ্ব ব্যাংক এসব রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের কথা বলেছে। বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে মুদ্রানীতিতে কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে হবে। ফলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।

টাকার অবমূল্যায়ন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও মনে করছে সংস্থাটি।

বিনিয়োগে তেমন একটা গতি আসবে না

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসবে। সরকারি ও বেসরকারি—উভয় বিনিয়োগই কমছে। নীতিগত অনিশ্চয়তা ও উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগে তেমন একটা গতি আসবে না বলেই মনে করছে সংস্থাটি।

অন্তর্বর্তী সরকার মূলধনী ব্যয় হ্রাসের নীতি গ্রহণ করায় সরকারি বিনিয়োগ কমবে। কিন্তু ভর্তুকি ও সুদ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এর সুবিধা তেমন একটা পাওয়া যাবে না।

এই বাস্তবতায় বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে, কিছু কিছু খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করতে হবে। সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, সরকারি ও করপোরেট খাতে সুশাসন আরও সংহত করা। তৃতীয়ত, দেশে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের যে চাহিদা, তা মেটাতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

বিষয়টি অবশ্য নতুন কিছু নয়। অনেক দিন ধরেই বিশ্ব ব্যাংক এ কথাগুলো বলে আসছে। তারা মনে করছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এই রাজস্ব দিয়ে দেশের প্রয়োজনীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

চতুর্থত, বাংলাদেশের আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা নিয়ে কথা বলেছে বিশ্ব ব্যাংক। তারা বলেছে, দেশে আর্থিক খাত যেভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে, তাতে জরুরি ভিত্তিতে এই খাতের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা দরকার। এ জন্য নীতি প্রণেতাদের কার্যকর সমাধান পদ্ধতি খুঁজে বের করা দরকার।

রপ্তানি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে

এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক।

এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ট্রাম্পের এই বাণিজ্যনীতির প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তেমন একটা পড়বে না। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এর পূর্ণাঙ্গ প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনুভূত হবে।

সংস্থাটি বলেছে, প্রভাব ঠিক কতটা পড়বে, তা এখনই সুনির্দিষ্ট হয়ে বলা সম্ভব নয়। কারণ, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও নীতি ক্ষণে ক্ষণে বদলায়।

সেই অনিশ্চয়তা মাথায় রেখেও তাদের হিসাব, বৈশ্বিক এই বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি ও প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১ দশমিক ৭ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে কমবে।

মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমবে

চলতি অর্থ বছরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের চেয়েও বেশি হবে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। তাদের পূর্বাভাস, চলতি বছর গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াবে ১০ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে, মূল্যস্ফীতির হার ধীরে ধীরে কমবে। কিন্তু খাদ্যের উচ্চমূল্য ও বাড়তি আমদানি মূল্যের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকেই যাবে; এর সঙ্গে সরবরাহজনিত জটিলতার কারণে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। কঠোর মুদ্রানীতির কারণে মূল্যস্ফীতির হার হয়তো ধীরে ধীরে কমবে। তবে কী হারে কমবে, তা নির্ভর করবে মুদ্রানীতির কার্যকারিতার ওপর।

বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে, আর্থিক খাত সংহত করার যে প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, বিশেষ করে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, তাতে মূল্যস্ফীতির চাপ একসময় কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে যে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে, তার কারণে মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আসবে এবং বিদেশি মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) স্থিতিশীল থাকবে। আরও বাজারভিত্তিক বিনিময় হার গ্রহণ করা হলে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি উপকৃত হবে।

ব্যয় সংকোচনের পরও ঋণ বাড়বে

অন্তর্বর্তী সরকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি থাকার কারণে সরকার যতটুকু ব্যয় করতে পারত, ততটুকুও করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।

তারা মনে করছে, মধ্য মেয়াদে রাজস্ব আদায় বাড়ানো না গেলে অবকাঠামো ও মানব উন্নয়ন খাতে সরকারের পক্ষে বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হবে না।

এত কিছুর পরও চলতি অর্থ বছরে সরকারের ঋণ কিছুটা বাড়বে। ঋণের অনুপাতে জিডিপির সাপেক্ষে ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশে উঠবে। সেই সঙ্গে বিদেশি ঋণের অনুপাতও বাড়বে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ, এবার তা ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশে উঠবে বলে তাদের পূর্বাভাস।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এ দেশীয় প্রধান গেইল মার্টিন বলেন, আর্থিক খাতের সংস্কার, বাণিজ্য সহজীকরণ ও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার করা গেলে মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে। কঠোর মুদ্রানীতি, আর্থিক খাত সংহতকরণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমদানি পণ্যের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করা হলে মধ্য মেয়াদে মূল্যস্ফীতিও কমবে। যদিও বাণিজ্য নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনীতিতে (বহির্বাণিজ্য–সংক্রান্ত খাতে) চাপ বাড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত