দায়িত্ব বেড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টার। সেইসঙ্গে ভার কিছুটা কমেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
শুরুতে ড. ইউনূসের হাতে ছিল ২৭ মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদের কলেবর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে তার দায়িত্ব। সবশেষ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ছয়টি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব পুনর্বন্টনের কথা জানানো হয়েছে।
সে অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া সালেহ উদ্দিন আহমেদ নতুন করে পেয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এতে করে তার দায়িত্বে এখন রয়েছে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ তিনটি মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টা হাসান আরিফ নতুন করে ভুমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে তার কাছে ছিল স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্ৰণালয়। আরেক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আগে তার কাছে ছিল বস্ত্র ও পাট মন্ত্ৰণালয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এতদিন তার কাছে কেবল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ছিল।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। সেদিনই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বতী সরকার। যার প্রধান হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথম দিন শপথ নিয়েছিলেন ১৪ উপদেষ্টা, পরে নেন আরও তিনজন।
সরকার গঠনের নয় দিনের মাথায় ১৭ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ান প্রধান উপদেষ্টা। সব মিলিয়ে এখন প্রধান উপদেষ্টাসহ ২১ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।