গভীর রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালিয়েছিল ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। তবে বেশিদূর যেতে পারেনি তারা। পলায়নের পর অল্প সময়ের ব্যবধানে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
চার আসামি হলেন– কুড়িগ্রামের মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জু (৬০), নরসিংদির মো. আমির হামজা (৩৮), বগুড়ার ফরিদ শেখ (২৮) ও মো. জাকারিয়া (৩১)।
কারাগার থেকে পালানোর পর বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে বগুড়া শহরের চেলোপাড়া চাষী বাজারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টা ৫৬ মিনিটে খবর আসে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে চারজন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছেন। খবর পাওয়া মাত্রই বগুড়া সদর থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
সুদীপ কুমার জানান, অভিযানের এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে শহরের চেলোপাড়ায় করতোয়া নদীর পাড়ে চাষী বাজার থেকে চারজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া যায় এই চারজনই কারাগার থেকে পালানো ফাঁসির আসামি। এরপর তাদেরকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়।
পৃথক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই চার আসামি একই কনডেম সেলে ছিলেন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সেখানে থেকেই তারা পালানোর পরিকল্পনা করেন।
চার আসামি কীভাবে সেল থেকে বের হলেন সে বিষয়ে সুদীপ কুমার বলেন, রাতে তারা নিজেদের বিছানার চাদর ছিড়ে দড়ি বানান। এরপর কৌশলে কারাগারের ছাদ ফুটো করে সেলের বাইরে বের হন। আগে থেকে বানানো বিছানার চাদরের দড়ি দিয়ে কারাগারের বিল্ডিং থেকে নিচে নামেন। এরপর কারাগারের পূর্ব পার্শ্বে করতোয়া নদীর ওপর ছোট ব্রিজের নিচে দিয়ে পালিয়ে যান তারা।
তিনি বলেন, ঘটনা জানা মাত্রই দ্রুততম সময়ে পুলিশ সদস্যরা চার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আজকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।