বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর ও একজনকে অপহরণের ঘটনা দায়ের করা মামলায় সন্দেভাজন আরও চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৬২ জনকে কারাগারে পাঠানো হলো।
ফজলুল হক জানান, রবিবার দুপুরে রুমা থেকে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে তাদের বান্দরবান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ এস এম এমরান জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, রুমার রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের লাল রৌবত বম ওরফে আপেল (২৭), বান্দরবান সদর ইউনিয়নের কুহালং ইউনিয়নের লাল লম খার বম ওরফে আলম (৩১), রুমা পাইন্দু ইউপির রুয়াল মিথুসেল বম ওরফে আমং (২৫) এবং বান্দরবান সদর ইউপির লাল রুয়াত লিয়ান বম (৩৮)।
আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, এই চারজনকে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সন্দেহভাজন সদস্য হিসেবে মামলায় দেখানো হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল রাতে এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের ৩টি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়া লুট করে বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি।
দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত বলে উল্লেখ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে রুমা ও থানচি এলাকায় কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এর আগে এ ঘটনায় যৌথ অভিযানে আটক ৫৭ জন কুকি-চিন সদস্য ও ব্যাংক ডাকাতিতে একজন গাড়ি চালক সহ মোট ৫৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছিল আদালত।