বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ সৃষ্ট সহিংসতার কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘোষণা দেয় মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে ৫টায় শেষ ট্রেন ছেড়ে গেছে। এরপর সার্বিক দিক বিবেচনা করে আজকের মতো ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে নিয়মিত বিরতিতে মেট্রোরেল চললেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের সামনের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে বন্ধ রাখা হয় মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর-১১ মেট্রোরেল স্টেশন।
সেসময় ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অপারেশন) নাসির উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, চারটি স্টেশন বাদ দিয়ে চলছে মেট্রোরেল।
অর্থাৎ দুপুর ২টা থেকে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং উত্তরা থেকে পল্লবী স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল চলেছে।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হলে তা যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা অবরোধ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস ও রবার বুলেট ছোঁড়ে। একপর্যায়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিরপুর-১০ ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সময় থেকেই মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।