মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। এতদিন অস্ত্রসহ পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হলেও এখন আর তা দেওয়া হচ্ছে না।
রবিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল ৭০ বিজিপি সদস্যবাহী চারটি ট্রলার। তবে সবগুলোকেই ফিরিয়ে দিয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
এর মধ্যে সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদী জলসীমা দিয়ে দুটি ট্রলারে করে বিজিপির অন্তত ৩০ জন্য সদস্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। কিন্তু নাফ নদীতে দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্য ট্রলার দুটিকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহপরীর দ্বীপের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
তারা জানান, অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ট্রলারগুলোকে নাফনদী হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়।
অন্যদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফের জালিয়াপাড়ার ট্রানজিট ঘাট সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনা হয়ে দুটি ট্রলারে আরও ৪০ বিজিপি সদস্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদেরকেও ফিরে যেতে বাধ্য করেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।
অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা এসব দৃশ্য ভিডিওধারণ করেন।
তেমনই একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নাফ নদীর মাঝামাঝি দুটি ভাসমান যান। একটি ট্রলারে ছিলেন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা। তারা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোস্টগার্ডের পক্ষে থেকে তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় ও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ঠিক ওই সময়ই নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, এপার থেকে দেখা যায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কোনও কর্মকর্তা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কিছু জানানো না হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণ কিছু সংখ্যক বিজিপি সদস্য অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার সীমান্ত দিয়ে ২৮ জন বিজিপি সদস্য এবং গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনে দেড় শতাধিক বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। অস্ত্র জমা নিয়ে এদের দমদমিয়া বিজিবির ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় হেফাজতে রেখেছে বিজিবি।
এ বিষয়েও কোনও কথা বলেনি বিজিবি ও কোস্টগার্ড।