বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে মিয়ানমারে থেকে দেশে ফিরছেন ৪৫ বাংলাদেশি।
মিয়ানমার নৌ বাহিনীর যে জাহাজে তারা ফিরছেন সেটিতেই রবিবার ফেরত যাবেন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা বাহিনীর ১৩৪ সদস্য।
শনিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির সকাল সন্ধ্যাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৪৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে শনিবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে যাত্রা করেছে দেশটির নৌ বাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন। রবিবার ভোরে জাহাজটির কক্সবাজারে পৌঁছার কথা রয়েছে। ওই জাহাজটিতেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত নিয়ে যাবে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই ৪৫ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে ছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই সঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
এর পর গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত কয়েক দফায় আর ১৩৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। গত ১২ মে কক্সবাজার সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসাদের মধ্যে কয়েকজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও দুজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। যারা বিজিবির হেফাজতে আছেন।