ব্যাংকে হামলার পর পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; যাদের মধ্যে একজন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বলে দাবি র্যাবের।
গ্রেপ্তার কেএনএফ নেতার নাম চেওসিম বম। তিনি বান্দরবান সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের শারণ পাড়ার বাসিন্দা।
রবিবার বিকালে বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫-এর ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানান।
হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের পরিচয় জানায়নি র্যাব।
এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, চেওসিম বম কেএনএফের প্রধান নাথান বমের আত্মীয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার নেতা শামীম মাহফুজ ও নাথান বমের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণের চুক্তি শারণ পাড়ার চেওসিম বমের বাড়িতেই হয়েছিল।
সুনিদিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে সুয়ালক ইউনিয়নের শারণ পাড়ায় চেওসিম বমের বাড়িতে অভিযান চালানো হয় জানিয়ে র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, “রের মধ্যে একটি লোহার লকারের ভেতর তাকে পাওয়া যায়। তিনি সেখানে লুকিয়ে ছিলেন। লকারটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। তালা ভেঙ্গে তাকে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়।”
পরে বান্দরবান সদর উপজেলার পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে র্যাব দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করে। তবে এগুলো গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির সময় সেখানকার পুলিশ ও আনসার সদস্যদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র কিনা- তা এখনও জানা যায়নি।
র্যাব জানিয়েছে, এ বিষয়ে পরে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে টাকা লুট করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ও নিরাপত্তায় থাকা ১০ পুলিশ সদস্য ও ৪ আনসার সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরদিন সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের আরও দুটি শাখায় হামলার ঘটনা ঘটে।