বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি পাঁচজনের শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে এখনই তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
এদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন দুজন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তিন বন্ধু আবরার ফারদিন, মেহেদী হাসান ও সুমাইয়া আক্তার।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিকেল সার্জন তরিকুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, বৃহস্পতিবার বেইলি রোড থেকে ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। যার মধ্যে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনজন।
“এই তিনজনের অল্প অল্প শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকে ব্যাথা আছে। আমরা পুরোপুরি কনফার্ম না হওয়ার পর্যন্ত কাউকে ছাড়ছি না। তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই আমরা ছাড়ব।”
চিকিৎসাধীন তিন তরুণের কোনও বিপদের শঙ্কা রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, “একদম সুস্থ হয়ে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলতে পারছি না। তাদের কারও বাহ্যিক বার্ন নেই, কিন্তু সবারই ভেতরে শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।”
বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড থাকে উল্লেখ করে ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, যা রক্তে মিশে গিয়ে শরীরকে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। যদিও তাদের সবার অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো। আশা করছি সর্ম্পূণ সুস্থ হয়ে তারা বাড়ি যাবেন।
তবে শারীরিকভাবে সুস্থতার দিকে গেলেও একেবারেই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন চীন থেকে দেশে আসা আববার ফারদিন। অসুস্থ দাদাকে দেখতে তিনি দেশে এসেছিলেন। ঘটনার দিন বারডেম হাসপাতালে চিকিৎধীন দাদাকে রক্ত দিতে যান। এরপর দুই বন্ধু মেহেদী ও সুমাইয়াকে নিয়ে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে যান খাবার খেতে। সেখানেই আগুনে আটকে পড়েন তারা।
দাদা শনিবার মারা গেছেন জানিয়ে ফারদিন বলেন, “শারীরিক কষ্টের সঙ্গে আমার এখন তীব্রভাবে মানসিক কষ্ট যোগ হয়েছে।”
এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে চিকিৎসাধীন জুবায়ের আহমেদ ও ইকবাল হোসেনও আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।