কোরবানির ঈদের ছুটিতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উখিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে কক্সবাজার সৈকতে এসে ধরা পড়েছে অর্ধ শতাধিক রোহিঙ্গা।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৬০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম (পর্যটন সেল) মো. মাসুদ রানা।
নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১৩ লাখের মতো রোহিঙ্গার অধিকাংশই কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। বিদেশি এই নাগরিকদের ক্যাম্প থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ।
তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব রোহিঙ্গা উখিয়ার ১৫, ১, ৯ নম্বরসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে কক্সবাজার চলে আসে বলে জানান মাসুদ রানা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসতে না পারে; এজন্য জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অভিযান চালিয়ে ৬০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
উখিয়া থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার আসতে এই রোহিঙ্গারা কয়েকটি বাস ভাড়া করেছিল।
সৈকতের কলাতলীর মোড় থেকে এমন চারটি বাসও জব্দ করা হয় জানিয়ে নির্বাহী হাকিম মাসুদ রানা বলেন, বাসগুলোর চালক ও সহকারী মিলিয়ে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আটকের পর রাত ১০টায় পর্যন্ত তাদের তথ্য সংগ্রহ করে উখিয়ার ক্যাম্প ইনচার্জদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান মাসুদ রানা।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের বহন করায় বাস চালক ও হেলপারদের ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।