স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট হবে ১৫০ উপজেলায়। এসব ভোটে চেয়ারম্যান পদে ভোটে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬৯৬ প্রার্থী।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমা পড়েছে ৭২৪ জনের মনোনয়নপত্র এবং সংরক্ষিত নারী পদের জন্য জমা পড়েছে ৪৭১ টি মনোনয়নপত্র। সব মিলিয়ে প্রথম ধাপে তিন পদে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সোমবার ছিল প্রথম ধাপের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
সময় শেষ হওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা পড়ার সংখ্যা সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক ছিল।
এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ৮ মে দেশের ১৫০ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হবে।
এই ভোটে কোনও প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অটল বিএনপি।
ফলে ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনেকটা নির্দলীয় প্রতীকেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। ব্যালট ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দুই মাধ্যমেই এবার ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫২ উপজেলার মধ্যে ৯ জেলার ২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল।
এসব আনুষ্ঠানিকতার পর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
শরীয়তপুর, চাঁদপুর, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ ও কক্সবাজার জেলার যে ২২ উপজেলায় ভোট হবে সেগুলো ইভিএমে হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। এর মধ্যে ২৮টি অংশ নিয়েছিল সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপিসহ সমমনা ১৬টি দল ওই ভোটে ছিল না।